সুপ্রভাত ডেস্ক »
২০ টন ইলেকট্রিক মোটর আমদানির ঘোষণায় আনা চালানে ১৩৫৩০ কেজি নিডো ব্রান্ডের গুঁড়োদুধ পেয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ঘোষিত ইলেকট্রিক মোটরের শুল্ক মাত্র ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ, যেখানে গুঁড়োদুধের শুল্ক ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ চালানে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা রাজস্বহানির অপচেষ্টা হয়েছিল। খবর বাংলানিউজের।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টসের নামে চালানটি শিপিং এজেন্ট বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে দুবাই থেকে বন্দরে আসে ১৩ মার্চ। ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে। কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিল আমদানিকারক। পণ্যচালানের ধরন ও রপ্তানি বন্দর দুবাই অসামঞ্জস্য হওয়ায় চালানটির বিল অব লেডিং ব্লক করে নজরদারিতে রাখে কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ টিম।
মঙ্গলবার কনটেইনারটি বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপডাউন করে এআইআর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। যাতে পাওয়া যায় ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্রান্ডের গুঁড়োদুধ। রাজস্ব হানির সুযোগ ছিল প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক জানিয়েছেন, এ চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিতকরণ ও কঠোর আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান।