সুপ্রভাত ডেস্ক »
রমজান মাসজুড়ে অনেকেই ইফতারে ভাজা-পোড়া খাবার খেতে পছন্দ করেন। এসব খাবারের অধিকাংশই থাকে অধিক চিনি বা লবণযুক্ত। এছাড়া এগুলোতে ক্যালোরির পরিমাণও থাকে বেশি। সারাদিন উপবাসের পর এই খাবারগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই এক ভালো লাগা অনুভূতি দেয়। কিন্তু অন্যদিকে পরের দিনের রোজা পালনটা কঠিন হয়ে ওঠে। মশলাদার এবং অধিক লবণযুক্ত খাবার শরীরের পানির চাহিদা বৃদ্ধি করে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে অলসতা ও ক্লান্তির উদ্রেক ঘটে। নিয়মিত এ ধরনের খাদ্য গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য এবং পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম মাওলা এ বিষয়ে বলেন, ‘ইফতারের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, শরীরে যেন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব না হয়। আর সেজন্যে একটি সুষম খাদ্যতালিকা তৈরি করতে হবে। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালরি আসতে হবে সুষমভাবে। আমিষ, চর্বি এবং শর্করা সবগুলো থেকেই আসতে হবে।’ চিকিৎসকদের মতে, ইফতারের শুরুতে অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। চিড়া, কলা কিংবা ওটস, দুধ, কলা এ জাতীয় সুষম ও ঠাণ্ডা খাবার দিয়ে রোজা ভাঙতে পারেন। এতে গরমের মধ্যে স্বস্তি ও সুস্থতা উভয়ই পাওয়া যাবে। চিড়া বা ওটস দুটোই জটিল শর্করা যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং একটি কলা থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও আয়রন পাওয়া যায়।