সুপ্রভাত ডেস্ক »
টানা ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি। ফলে রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
পাঁচ দফা দাবিতে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পর হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসকদের সঙ্গে উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকরাও কাজ করছেন। এরপরও সবসময় চিকিৎসকের দেখা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর অভিভাবকরা।
এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্যদের চিকিৎসকের স্বীকৃতি না দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মর্সচি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দাবির মধ্যে রয়েছে- বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দেওয়া, ম্যাটসদের নিবন্ধন দেওয়া বন্ধ করা এবং বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া আর কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ, চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে। সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এবং মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ক্লাস বর্জন করছেন চমেক শিক্ষার্থীরা। এর ফলে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সাকিব হোসেন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে শিক্ষার্থীরাও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।