সুপ্রভাত ডেস্ক
স্পেন, ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে আজ সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়েছে। ইতালিতে প্রায় দুই মাস লকডাউনে বন্ধ থাকার পর বার ও সেলুনসহ অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্পেনেও লকডাউন বেশ শিথিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে ১০ জনের নিচে যে কোনো জমায়েতের অনুমতি মিলেছে। ধারাবাহিকভাবে যে মৃত্যুর মিছিল চলছিল সেটি অনেকটা কমে আসায় দেশ দুটি এখন লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল।
মার্চে লকডাউন শুরুর পর ইতালিতে গতকাল রবিবারই আগের ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিন দেশটিতে প্রাণ হারায় ১৪৫ জন। দেশটিতে গত ২৭ মার্চ একদিনে সর্বোচ্চ ৯০০ মানুষের প্রাণ হারানোর রেকর্ড রয়েছে।
এদিকে স্পেনে লকডাউন চালুর পর প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০০-এর নিচে নেমে আসায় স্বস্তি ফেরে দেশটিতে। এর ফলে সেখানে লকডাউন খানিকটা শিথিল করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে অধিকাংশ মানুষ লকডাউন থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। দেশটিতে অঞ্চলভেদে চার ধাপে লকডাউন তুলে নেয়া হবে। তবে আত্মতুষ্টির ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অসতর্ক থাকলে ভাইরাসটি দ্বিতীয়বারের মতো হানা দিতে পারে।
ইতালিতে রেস্তোরাঁ, বার, সেলুন ও অন্যান্য দোকানপাট খোলার অনুমতি মিলেছে। ক্যাথলিট চার্চগুলোতে মানুষ যাওয়া শুরু করেছেন। তবে সর্বত্রই সামাজিক দূরত বজায় রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। এছাড়া সবাইকে মাস্ক পরিধান করার অনুরোধ জানানো হযেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবশ্য বড় ধরণের জমায়েত করার ব্যাপারে সাবধান করে দেয়া হয়েছে।
ইতালিতে করোনাভাইরাসে ৩২ হাজার মানুষ মারা গেছে এবং এ ভাইরাসের প্রভাবে এবার দেশটির অর্থনীতি ১০ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
এছাড়া বেলজিয়ামে কড়াকড়ির মধ্যে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। সেখানে জাদুঘর ও চিড়িয়াখানার দরজাও খুলেছে। যদিও চিড়িয়াখানা ও জাদুঘরে তারাই যেতে পারবেন যারা বুকিং করেছেন এবং অনুমতি মিলবে সীমিত সংখ্যক মানুষের। গ্রিসে বিখ্যাত অ্যাক্রোপোলিস খুলে দেয়া হয়েছে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। পর্তুগালেও রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও পেস্ট্রি শপ খুলে দেয়া হয়েছে। এসব জায়গায় আসনসংখ্যা সীমিত রাখা। পোল্যান্ডে বিউটি স্যালুন ও হেয়ারড্রেসার খুলে দেয়া হয়েছে।