নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :
সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হত্যা মামলার রায় আজ।
গত ১১ নভেম্বর বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ তারিখ নির্ধারণ করেন বলে জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান।
উল্লেখ্য, প্রায় ২১ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের পর পর দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১ জন আসামিকে বাদ দিয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন ।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষে উপস্থিত আসামিদের জামিন বাতিল করে সাতকানিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন, ইমতিয়াজ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা মানিক, মো. ইদ্রিস, মো. জাহেদ হাসনাইন, আবু মোহাম্মদ রাশেদ হাসনাইন, ফোরখ আহমদ, মো. হারুনর রশিদ, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক ও আবু তাহেরসহ ১০ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত।
দীর্ঘ প্রায় ২১ বছরের এ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসইউএম নুরল ইসলাম।
এ মামলার অপর ১০ আসামির মধ্যে লুৎফুর রহমান চৌধুরী ওরফে লুতু মারা গেছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতা বশির আহমদ চৌধুরী, মো. ইদ্রিস, তারেক, আইয়ুব, মোরশেদুল আলম, আব্দুল মালেক, জসিম উদ্দিন, খায়ের আহমদ ও মো. মোস্তাকসহ ৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
নিহত আমজাদ চেয়ারম্যানের ছেলে মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ওরফে তারেক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার বাবার খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে এটা আমি আশা করি।
অ্যাডভোকেট এসইউএম নুরুল ইসলাম আরও জানান, এ ৯ আসামির মধ্যে অনেকে বিচারকার্য শুরুতেই পলাতক ছিলেন। আবার বশিরসহ কয়েকজন গ্রেফতার পরবর্তী জামিনে বেরিয়ে পলাতক রয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল আজ রোববার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ