ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; যা আরও আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ইউনূসকে প্রধান করার এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকের পর বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, “বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তবর্র্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাদের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিনবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের একটি দল। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পযন্ত বৈঠক হয় বঙ্গভবনে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি কোস্টার বাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়কসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।

এর ঠিক এক ঘণ্টা ৩৩ মিনিটে পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা একটি গাড়ি বহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। বহরে ১০টির বেশি