নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আগামী কোনো নির্বাচনকে বিতর্কিত হতে দেয়া যাবে না। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে গিয়ে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার, অযথা গোলযোগ সৃষ্টিসহ নানা অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
তিনি গতকাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ও নাজিরহাট পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস এ সভার আয়োজন করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ১৬ মার্চ বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্বতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতি ৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে প্রতি ৩ ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ভোট কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রে গ-গোল সৃষ্টিকারীদেও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে কিভাবে ভোট প্রদান করবেন সে বিষয়ে আগামী ১৩ ও ১৪ মার্চ নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত স্টিকার ছাড়া কোন যান্ত্রিক যানবাহন নির্বাচনী এলাকায় চলবে না। ভোটের ৩৬ ঘন্টা পূর্বে থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময়ে বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও এসি-ল্যান্ডদের অযথা ফোন করে গুজব ছড়ানো যাবে না। ভোট গ্রহণের দিন প্রার্থীসহ নির্বাচনের কাজে সম্পৃক্ত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ ভোট কেন্দ্রে ও ভোটার ছাড়া কেউ বুথে প্রবেশ করতে পারবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে ছাড় নেই।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নির্বাচন ইস্যুতে কোন প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে তা প্রমানসহ লিখিতভাবে জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিতর্কিত ব্যক্তিকে নির্বাচনী এজেন্ট দেয়া যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি শতভাগ মেনে চলতে হবে।’
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহ বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়া আমাদের সকলের কাম্য। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন থাকবে কঠোর অবস্থানে।
বোয়ালখালীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মোট ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্র হণ হবে। এ সকল কেন্দ্রে ৫শ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। র্যাব ও বিজিবি টহলের পাশাপাশি ৩টি ইউনিয়ন মিলে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম কাজ করবে। কেন্দ্রের বুথে গোপন কক্ষে ভোটার ব্যতীত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান, বোয়ারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি, র্যাব প্রতিনিধি মো. খালিদ, মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন, বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রাজ্জাক, ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা, ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. রেজাউল করিম রাজা, এস এম মিজানুর রহমান, কাজী আয়েশা ফারজানা, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, একে জাহিদ চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সোলেমান, মো. আমান উল্লাহ আমান, মোহাম্মদ হোসেন, সলিমা আকতার, আবদুল ওয়াহাব, মো. মঞ্জুর মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি