সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আম্পায়ারিং থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন টানা তিন বার আইসিসির বর্ষসেরার খেতাব জেতা আলিম দার। ২০২৪-২৫ ঘরোয়া মৌসুম দিয়ে ২৫ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এ কিংবদন্তি।
বিশ্বসেরা আম্পায়ারদের তালিকা করলে সেখানে নিঃসন্দেহে জায়গা করে নেবেন আলিম দার। তার দেওয়া সিদ্ধান্তের পর ক্রিকেটাররাও রিভিউ নিতে দুবার ভাবে। আম্পায়ার জগতে তিনি অন্যদের জন্য আইকন।
গত বছরের মার্চে আইসিসির শীর্ষ আম্পায়ারদের জন্য গড়া এলিট প্যানেল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন আলিম। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলের অংশ হিসেবে ওয়ানডে এবং টি-২০তে আম্পায়ারিং করে যাচ্ছিলেন তিনি।
চলতি বছরের বাকি সময়টা আম্পায়ারিং করেই যাবেন আলিম। ক্যারিয়ার শেষ করবেন আগামী বছরের পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে। আম্পায়ারিং ছাড়লেও পরবর্তী প্রজন্মের অফিশিয়ালদের জন্য মেন্টর হিসেবে কাজ করতে চান তিনি।
রেকর্ড ১৪৫ টেস্ট এবং ২২২ ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং করা আলিম দার অবসরের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে আম্পায়ারিংই আমার জীবন। আমার ক্যারিয়ারজুড়ে, ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সবচেয়ে আইকনিক কিছু ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছি, এই প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড়রা যেখানে খেলেছে। বিশ্বের সেরা ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে কাজ করা সম্মানের বিষয়।’
২২ গজে আলিম দারের আগমন ঘটেছিল ক্রিকেটার হিসেবে। তিনি ছিলেন লেগ স্পিনার। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ১৭টি প্রথম শ্রেণি আর ১৮টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবন ছেড়ে ১৯৯৮-৯৯ কয়েদ-এ-আজম ট্রফিতে আম্পায়ার হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০০০ সালে গুজরানওয়ালায় পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার ম্যাচ দিয়ে তার আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু হয়।
পরের গল্পটা সবার জানা। চার বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা আলিম ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা তিন বছর জেতেন আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের খেতাব ‘ডেভিড শেফার্ড’ অ্যাওয়ার্ড।
সাম্প্রতিক সময়ে আলিম দার ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছেন ৫৬ বছর বয়সি পাকিস্তানের এ আম্পায়ার। ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা, ব্লাড ব্যাংক ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কাজ করে থাকে তার প্রতিষ্ঠান।
অবসরের পর সেখানে আরো বেশি সময় দিতে চান আলিম দার। তিনি বলেন, ‘সব কিছুরই শেষ আছে। এখন আমার পুরোপুরি সামাজিক ও দাতব্য কাজে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’