সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
কিছুদিন আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, সভাপতি পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা তার নেই। ডাক্তাররাও নাকি তাকে ক্রিকেটের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত হতে নিষেধ করেছেন। তার চাওয়া, নতুন কেউ বিসিবি সভাপতি হোক, কেউ এই দায়িত্ব সামলানোর চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করুক। যদিও পাপনের ধারণা, তিনি বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ বিসিবি সভাপতি হতে চাইবেন না। যদিও বিষয়টা ঠিক নয় বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি।আজ (মঙ্গলবার) বিসিবির ১২তম বোর্ড সভা শেষে সভাপতি পাপন বলেছেন, ‘আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে, আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আর কেউ এই পদটা নিতে চাইবে না। এটা ভুল জিনিস। এটা হবে, তা আমি বিশ্বাস করি না। আমি চাই বোর্ডে যেই আসুক, তাদের চ্যালেঞ্জ জানানো উচিত যে আমি বোর্ড সভাপতি হতে চাই। অন্তত বলুক।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘এখন তো কেউ বলেও না। এটা ভালো নিদর্শন নয়। কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত, যেখানে নতুনরা দায়িত্ব নেবে। এটার জন্য আমি চাই লিডারশিপ গ্রো করুক। বাংলাদেশে লিডারশিপের অভাব নেই। কোনও কারণে কেউ আসতে চাই না।’
সবাই পরিচালক হতে চাইলেও সভাপতি হতে চান না উল্লেখ করে পাপন বলেছেন, ‘পরিচালক হতে কিন্তু সবাই চায়। এমন কেউ নেই যে পরিচালক হতে চায় না। কিন্তু সভাপতির পদের কথা বললে আর কেউ নাম বলে না। কেন বলে না, আমি জানি না। আমি এটা উন্মুক্ত রাখতে চাই। আমি চেষ্টা করবো, আমি চাইবো যে নতুন কেউ আসুক।’কেউ যদি বিসিবি সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান, তাহলে খুশি মনে তাকে পূর্ণ সমর্থন দেবেন বর্তমান সভাপতি, ‘যেই আসুক আমি খুব খুশি হবো এবং তাকে আমি পূর্ণ সমর্থন দেবো। আমাদের কমিটিতে যারা ছিলাম, সবাই যদি হেরেও যাই; আমি কথা দিচ্ছি নতুন যারা আসবে, আমি পূর্ণ সমর্থন দেবো। আমাকে যখন যা বলবে আমি করতে রাজি আছি। আমরা সবাই সমর্থন দেবো।’
কেন কেউ এগিয়ে আসছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এটা ঠিক না, এক রকম চলছে তো চলছেই। আর কারও হওয়ার ইচ্ছাও থাকবে না, থাকলেও বলবে না, এ জিনিসটা আমার কাছে মনে হয় ঠিক না। কেন আসছে না, জানি না আসলে। আমার মনে হয়, আমিই সমস্যা।’চলতি মাসে শেষ হয়ে যাবে বিসিবি সভাপতি হিসেবে পাপনের দ্বিতীয় মেয়াদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চায় বর্তমান কমিটি। ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বাকি শুধু তফসিল ও নির্বাচনের দিন ঘোষণার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।