সুপ্রভাত ডেস্ক
অভিনয় কিংবা প্রযোজনা নিয়ে ভক্তদের কোনো সমালোচনাই গায়ে মাখেন না ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তাদের অবস্থা অনেকটা মন্দিরের ঘণ্টার মতো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার মুক্তি পেতে যাওয়ার তার প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘ডাল বাটি চুরমা’ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার পত্রিকার কাছে এ মন্তব্য করেন নায়িকা।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি আসলে মন্দিরের ঘণ্টার মতো, যে যেমন খুশি এসে বাজিয়ে চলে যায়। পাবলিক ফিগার হওয়া মানেই অলিখিত ঘোষণা, যে যেমন খুশি কথা বলতে পারে। ট্রল করতে পারে। আমরা এগুলো নিয়েই সংসার করি। নেতিবাচক মন্তব্য এখন আমি উপভোগ করি।’
ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকে বৈষম্যের নিয়ে প্রযোজক হিসেবে তার ভাবনা প্রসঙ্গে কৌশানী বলেন, অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থা কী করবে, তা নিয়ে সত্যিই আমি আত্মবিশ্বাসী নই। পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্যটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি করে চোখে পড়ে।
‘বলিউডে এই বৈষম্য থাকলেও, তাদের রোজগার এতটাই বেশি, তাই চোখে পড়ে না। তবে আমার প্রযোজনা সংস্থায় চেষ্টা করব, প্রত্যেকের প্রাপ্য পারিশ্রমিক যথাযথ দেয়ার।’
পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষ্যমের শিকার হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে এই নায়িকা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। এমন অনেক সময় হয়েছে, একটা ছবিতে আমার নায়কের তুলনায় অনেক বেশি অংশ আমার। আমায় অনেক বেশি দিন সময় দিতে হয়েছে। কিন্তু শেষে নায়ককেই বেশি পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে, আমায় নয়।
‘আমি বনিকে অনেক বার প্রশ্ন করেছি। অনেক সময় বনির সঙ্গেই হয়তো ছবি করছি। ওর থেকে আমায় অনেক বেশি দিন সেই ছবির জন্য শুট করতে হয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে আমাকে ওর থেকে কম টাকাই দেয়া হয়েছে। তখনই বনিকে আমি বলেছিলাম, কেন এমনটা হয়? ’
প্রযোজক হওয়ার পর মানুষের মধ্যে কী পরিবর্তন দেখছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে তো অনেকেই বলছেন, খুব ভাল হয়েছে। সবাই লিখে পাঠাচ্ছেন ‘অল দ্য বেস্ট।’ শুনেছি পিছনে অনেকে বলছেন, ‘দেখব কত দিন চালাতে পারে। দেখব ছবিটা কী দাঁড়ায়!’ এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয় ছবিটা দর্শকের ভাল লাগবে।