সুপ্রভাত ডেস্ক »
ব্রিটেনের রাজা হলে রাজতন্ত্রে পরিবর্তন আনবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম। অ্যাপল টিভি প্লাসের এক অনুষ্ঠানে খোলামেলা সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
এই সাক্ষাৎকারে তিনি পরিবার, দায়িত্ব, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের সূত্র বলছে, এটি প্রিন্স উইলিয়ামের জীবনের সবচেয়ে খোলামেলা সাক্ষাৎকারগুলোর একটি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
অ্যাপল টিভি প্লাসের অনুষ্ঠান দ্য রিলাকট্যান্ট ট্রাভেলার-এর জন্য উইন্ডসরে অভিনেতা ইউজিন লেভির সঙ্গে আলাপে উইলিয়াম বলেন, “আমার এজেন্ডায় পরিবর্তন আছে। ইতিবাচক পরিবর্তন, এগুলোকে আমি স্বাগত জানাই। আমি পরিবর্তনকে ভয় পাই না, বরং এটিই আমাকে সবচেয়ে বেশি উদ্দীপ্ত করে। তবে এটি কোনো অতিরিক্ত মৌলিক পরিবর্তন হবে না, বরং প্রয়োজনীয় কিছু রদবদল।”
উইলিয়াম সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় লেভিকে উইন্ডসর ক্যাসেলের ভেতরে ঘুরিয়ে দেখান। তিনি বৈদ্যুতিক স্কুটারে চড়ে আসেন এবং জানান, প্রাসাদের ভেতরে চলাচলের জন্য এটি ব্যবহার করেন। আলাপচারিতায় তিনি নিজের পরিবার, ঐতিহ্য ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস কখনো কখনো বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তার ভাষায়, “অতীত যদি সতর্কতার সঙ্গে সামলানো না হয়, তবে সেটি শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে উঠতে পারে। তাই বর্তমানের জন্য বেঁচে থাকাটাই জরুরি।”
প্রথার গুরুত্বের কথা বললেও তিনি জানান, সবকিছুই প্রশ্নের বাইরে নয়। তার মতে, “প্রথাগুলো এখনো কি কার্যকর? এগুলো কি সঠিকভাবে আমাদের কাজে লাগছে? এসব প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন।”
পরিবারের প্রসঙ্গ উঠলে উইলিয়াম স্বীকার করেন, স্ত্রী এবং বাবার ক্যানসারের চিকিৎসার সময় পরিস্থিতি সামলানো তার জন্য মানসিক চাপের ছিল। তিনি বলেন, “পরিবারকে ঘিরে চিন্তা আমাকে বেশ ভোগায়। তবে আমরা চেষ্টা করি সন্তানদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা দেওয়ার। খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে তাদের বোঝাই যে সবকিছু ঠিক আছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছর আমার স্ত্রী এবং বাবা যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছেন, তাতে আমি গর্বিত। আমার সন্তানরাও অসাধারণভাবে মানিয়ে নিয়েছে।”
উইলিয়াম বলেন, তিনি চান তার ছেলে এমন এক বিশ্বে বড় হোক, যেটি নিয়ে সে গর্ব করতে পারে।
এদিকে সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারির প্রসঙ্গ ওঠেনি। তবে এরপরও উইলিয়াম জানান, তিনি চান না রাজপরিবার আবার অতীতে যেসব তিক্ত অভিজ্ঞতা পার করেছে, সেদিকে ফিরে যাক।