সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে খুব একটা সময় বাকি নেই। আগামী ১৬ অক্টোবর মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। এর আগে গত (বুধবার) দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খবর ডেইলি-বাংলাদেশ’র
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক দল ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে শেষ কিছু দিনে বিশ্বকাপের আগে বিদেশের মাটিতে আরো এক ক্যাম্পের কথা শোনা যাচ্ছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই জানিয়েছিলেন এই খবর। এবার জানা গেল বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আরব আমিরাতের সঙ্গে ২ ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এই সিরিজ খেলতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সূচি অনুসারে ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফিরবেন ক্রিকেটাররা। এই সিরিজে থাকছেন না সাকিব আল হাসান। বর্তমানে তিনি আছেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। বাংলাদেশের সিরিজ যখন চলবে তখন তিনি সেখানে সিপিএলে খেলবেন। সাকিব না খেলায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে থাকবেন নুরুল হাসান সোহান। দেশে ফেরার পর আগামী ১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন আমিরাতে খেলতে যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘হ্যাঁ এটা অনেকটাই নির্ধারিত, একটা ডিটেইলড প্রেস রিলিজ ইস্যু করবো। এর মূল বিষয় ছিলো আমাদের টিমের যে প্রিপারেশন সেটা ওয়াদার কন্ডিশনের কারণে হয়নি সেজন্যই এ প্লানটা করা। সেই আলোকে আমরা ২-১ দেশের সাথে কথা বলেছিলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যেটা সিদ্ধান্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের যে ক্যাম্প ও একটা সিরিজে অংশগ্রহণ করবো। বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দলের সাথে ২টা ম্যাচ নিয়ে কথা হচ্ছে সেভাবেই জিনিসগুলো এগোচ্ছে।’ সুজন এরপর বলেন, ‘২২ তারিখ টিম যাওয়ার ব্যাপারে সিডিউল করা হয়েছে। ২২ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কয়েকটি প্র্যাকটিস সেশন এবং ২টা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। সেভাবে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারপর দেশে ফিরে ১ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডে যাবে দল।’
বিসিবির সিইও যোগ করেন, ‘ঢাকায় ওয়েদার কন্ডিশনের কারণে প্র্যাকটিস করার সুযোগ হয়নি। এই বিষয়গুলো চিন্তা করেই টিম ম্যানেজমেন্টের প্ল্যান। যেটা হচ্ছে কন্ডিশনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যাচ সিনারিও, আপনারা অবগত আছেন দুবাইতে স্পোর্টস সিটি আছে, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আছে। যেগুলো আমরা পাবো।’