সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু হঠাৎ বিপর্যয়ে মাত্র ১৪৩ রান করেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডারে তিন ব্যাটসম্যান থিতু হওয়ার ওপরেও ইনিংস লম্বা করতে না পারাই পরাজয়ের কারণ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনার তানজিদ তামিম ফিরে যান দলীয় ১২ রানের মাথায়। কিন্ত হাল ধরেছিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। সৌম্য ৪৫ বলে করেন ৩৩, শান্ত ৬৮ বলে করেন ৪৭ রান। থিতু হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তিনিও অনুসরণ করেছেন বাকিদের। ৫২ বল খেলে করেছেন ২৮। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচশেষে নিজের ওপর দায় নিয়ে পুরস্কার বিতরণীতে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি আমার উইকেটটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি সেট ব্যাটার ছিলাম। এরপর মিরাজ, এমনকি সৌম্য আমরা সবাই ৩০-৪০ রানের ঘরে ছিলাম। এ কন্ডিশনে লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে হত।’
নতুন বলে বোলারদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন শান্ত। তবে মাঝের দিকে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে অধিনায়কত্ব করে আফগানিস্তানকে রানের চাকা সচল করে দিচ্ছেন শান্ত- এমন সমালোচনা ছিল ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেও। কিন্তু ম্যাচশেষে শান্ত বলেন আরো আক্রমণাত্মক খেলার প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। শান্ত বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো শুরু করেছিলাম। প্রথম ১৫-২০ ওভার আমরা অনেক ভালো বোলিং করেছি। মাঝে আমরা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেনি। নবী এবং হাসমতউল্লাহ অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয় না আরো আক্রমণ করা উচিত ছিল। আমাদের ঠিক জায়গায় লম্বা সময় ধরে বল করে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। হাসমতউল্লাহ এবং নবী অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।’
এদিকে ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি বলেন, ‘দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক খুশি। আমরা পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বিশ্বাস ছিল এটা যথেষ্ট। আমরা ৫ উইকেট হারিয়েছিলাম কিন্তু নবি উইকেটে আসার পর সে ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে। আমরা বলছিলাম যে ২২০ রান ভালো স্কোর হবে।’
৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে হারানো গাজানফারের প্রশংসায় শাহিদি বলেন, ‘স্পিনাররা বেশ ভালো বোলিং করেছে। সে (গাজনাফার) একটা স্পেশাল ট্যালেন্ট।’ সূত্র-বিডিক্রিকটাইম ও ঢাকা পোষ্ট