সুপ্রভাত ডেস্ক »
এক বছরে দ্বিতীয় দফায় পানির দাম বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবাসিক সংযোগের প্রতি ইউনিট পানির জন্য ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৩৭ টাকা দিতে হবে।
আবাসিক সংযোগে প্রতি ইউনিটে (এক হাজার লিটার) ৫ টাকা ও বাণিজ্যিক সংযোগে ৫ টাকা ১৮ পয়সা হারে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে।
পানি উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং আগামী বছর থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ কিস্তি দিতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রতি ইউনিট পানির জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৩ টাকা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৩১ টাকা ৮২ পয়সা গুনতে হয়। সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবাসিক সংযোগের প্রতি ইউনিট পানির জন্য ১৮ টাকা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৩৭ টাকা দিতে হবে। ফলে আবাসিকে পানির দাম ৩৮ শতাংশ এবং বাণিজ্যিকে ১৬ শতাংশ বাড়ছে। বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি।
পানির দাম বাড়াতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠায় চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও এক দফা বাড়ানো হয়েছিল পানির দাম।
২০০৯ সালে আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির জন্য ৫ টাকা ৪১ পয়সা ও বাণিজ্যিকে ১৫ টাকা ৩২ পয়সা নেওয়া হতো। ২০১৪ সালে তা বাড়িয়ে আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির জন্য ৬ টাকা ৯০ পয়সা, বাণিজ্যিকে ১৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ২০২০ সালে আবাসিকে পানির দাম ১২ টাকা ৪০ পয়সা, বাণিজ্যিকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা নেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে প্রতি ইউনিট পানির জন্য আবাসিক গ্রাহকদের থেকে ১৩ টাকা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৩১ টাকা ৮২ পয়সা নেওয়া হতো।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, পানির উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। ২০২৩ সাল থেকে ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে হবে। তাই পানির দাম বাড়াতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে চট্টগ্রাম ওয়াসা বন্দর নগরীতে পানির সরবরাহ বাড়াতে প্রায় ৯,৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে; যেখানে অর্থের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সংস্থা প্রদত্ত ঋণ হিসেবে এসেছে। খবর টিবিএস।
সূত্রমতে, চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকা ও বিশ্বব্যাংকসহ তিনটি বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে মোট ৬,৩২৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।