নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
এক মাস না যেতেই আবারও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে অসংখ্য মরা জেলিফিশ। একেকটি জেলিফিশের ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি।
জানা গেছে, ভেসে আসা সৈকতের বালিয়াড়িতে পড়ে থাকা এসব মরা জেলিফিশ দেখে অনেক পর্যটকই স্পর্শ করছেন। তবে প্রাণঘাতী না হলেও এগুলোর সংস্পর্শে গেলে চুলকানিসহ এলার্জি জনিত নানা সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগস্ট মাসের শুরুতেই সৈকতে ভেসে এসেছিল অসংখ্য বড় বড় মরা জেলিফিশ। সপ্তাহখানেক পর তা আর দেখা যায়নি। কিন্তু তার ঠিক এক মাস যেতে না যেতেই কক্সবাজার সৈকতের উপকূলে ফের ভেসে এসেছে অসংখ্য বড় বড় মরা জেলিফিশ।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে এক সঙ্গে পড়ে আছে ১৪টি বড় বড় মরা জেলিফিশ। এসব জেলিফিশ দেখছেন ফেনী থেকে বেড়াতে আসা ৩ বন্ধু আইয়ুব, রিয়াদ ও জসিম। এ সময় কথা হয় আইয়ুব আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানে অনেক মরা জেলিফিশ দেখেছি। এছাড়াও জেলিফিশগুলো দেখতে ফুলের মতো, খুবই সুন্দর লাগছে। তাই জেলিফিশ নিয়ে ছবিও তুললাম।
আরেক পর্যটক বলেন, যখন ঘুরছি তখন বালিয়াড়িতে প্রচুর জেলিফিশ পড়ে থাকতে দেখছি। এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু এই জেলিফিশগুলো ধরে দেখছি কারণ জেলিফিশটা আসলে কি রকম। সৈকতের টিউব ব্যবসায়ী রমজান বলেন, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক ঘণ্টায় ভেসে এসেছে ৫০টিরও বেশি মরা জেলিফিশ। এক মাস আগেও মরা জেলিফিশ ভেসে এসেছিল।
দরিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা সজিব মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে সমুদ্রপাড়ে দেখা মিলছে মৃত জেলিফিশের। দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে এসব জলজপ্রাণী। এগুলোর একেকটির ওজন ১২ থেকে ১৫ কেজি। ‘সাগরপাড়ে একসঙ্গে এত মৃত জেলিফিশের আগে কখনো দেখিনি। এবারই প্রথম এমনটা হয়েছে।’
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, জেলিফিশ নামের সঙ্গে ফিশ থাকলেও জেলিফিশ কোনো মাছ নয়। সাগরতীরে ঘুরে বেড়ানো এই জলজপ্রাণী যেমন সুন্দর তেমনি অদ্ভুত।
সমুদ্র সৈকতে জেলিফিশগুলো আটকে পড়েছে সৈকতের বালিয়াড়িতে। একসঙ্গে এত মরা জেলিফিশ দেখে কৌতূহল বেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের। বালিয়াড়িতে পড়ে থাকা মরা জেলিফিশগুলো ধরে দেখছেন তারা।
এদিকে মাইকিং করা হচ্ছে মরা জেলিফিশগুলো স্পর্শ না করতে। এছাড়া মরা জেলিফিশগুলো গর্ত করে মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।