সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’-এর শুভেচ্ছাদূত এবং বিশেষ দূত হিসেবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি ১৯ এপ্রিল একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গাজা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে গাজার প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জোলির শেয়ার করা পোস্টে মানবিক সহায়তা গোষ্ঠী গাজার পরিস্থিতিকে ‘ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের সাহায্যকারীদের জন্য গণকবর’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী যখন গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথে তাদের সামরিক আক্রমণ পুনরায় শুরু করছে এবং তা বাড়িয়েই চলছে, জোরপূর্বক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে প্রয়োজনীয় সাহায্য আটকে দিচ্ছে, তখন ফিলিস্তিনিদের জীবন আবারও পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়েছে যে, ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণ গাজার মানবিক সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য একটি স্পষ্ট হুমকি।
এটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে জরুরিভাবে গাজার উপর থেকে অমানবিক এবং ধ্বংসাত্মক অবরোধ তুলে নেওয়ার এবং ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবিক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জীবন রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি, পোস্টটিতে যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশাও প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এবারই প্রথম নয়, জোলি এর আগেও গাজার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বছর দেড়েক আগে, গাজাকে সমর্থন করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি।
জোলি সেই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এটি আটকা পড়া জনগোষ্ঠীর উপর ইচ্ছাকৃত বোমা হামলা, যাদের পালানোর কোনও জায়গা নেই। গাজা প্রায় দুই দশক ধরে একটি উন্মুক্ত কারাগার এবং দ্রুত গণকবরে পরিণত হচ্ছে। নিহতদের ৪০% নিরীহ শিশু। পুরো পরিবারকে হত্যা করা হচ্ছে। বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে এবং অনেক সরকারের সক্রিয় সমর্থনে, লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি বেসামরিক – শিশু, মহিলা, পরিবার, সম্মিলিতভাবে শাস্তি এবং অমানবিকতার শিকার হচ্ছে। তারা সকলেই খাদ্য, ওষুধ এবং মানবিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি না করে, অস্বীকৃতি জানিয়ে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে, উভয় পক্ষের উপর একটি যুদ্ধবিরতি আরোপ করা থেকে বিরত রেখে, বিশ্ব নেতারা এই অপরাধে জড়িয়েছেন।’
বলা প্রয়োজন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ৫১,০০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।