সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এই মামলায় মোট ২৫ জন আসামি ছিল। মামলায় অভিযুক্ত ২২ আসামী কারাগারে রয়েছেন, তিনজন পলাতক।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৫ জনের ভেতর গ্রেপ্তারকৃত ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশারফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, মাহমুদ সেতু, শামসুল আরিফিন রাফাত, মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম, এহতেশামুল রাব্বি, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও মোস্তবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন- মুহতাসিম ফুয়াদ, আকাশ হোসেন, মোয়াজ আবু হোরায়রা, অমিত সাহা ও ইসতিয়াক হাসান মুন্না।
মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ- এই তিন আসামি শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ৩০২ ধারায় নরহত্যা, ৩০২ এর ৩৪ ধারা অনুযায়ী হত্যার পূর্ব-পরিকল্পনা এবং ১০৯ ও১১৪ ধারায় হত্যায় অংশগ্রহণের অভিযোগ গঠন করা হয়।
এসব অভিযোগে বলা হয়, তারা পরস্পর যোগসাজশে ‘শিবির সন্দেহে’ আবরার ফাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়া আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেছেন, এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট, তবে যে পাঁচজনের যাবজ্জীবনের হয়েছে, তাদেরও মৃত্যুদণ্ড চান তারা।