‘বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি তার মেধা দিয়ে দল ও দেশের জন্য কাজ করে গেছেন আজীবন। রাজনীতিতে এখন যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে তা থেকে যদি আমরা উত্তরণের পথ খুঁজি তাহলে এ প্রজন্মের কাছে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের মতো রাজনীতিবিদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তিনি নিজেকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পেরেছিলেন।’
গতকাল সকাল ১০টায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মুজিব নগর সরকারের ১ নম্বর প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিযুক্ত চট্টগ্রাম জেলা বাকশালের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ভাষা সৈনিক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রাক্তন নেতা আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী’র ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান একথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন দেশ দরদী রাজনীতিবিদ, দেশ ও জাতির জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, কৃষি সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, চন্দনাইশ পৌরসভা মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, সদস্য চেয়ারম্যান নাছির আহমদ, মাহবুবুর রহমান শিবলী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মরহুমের সন্তান শামীমা হারুন লুবনা, দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগ আহ্বায়ক দিদারুল আলম, যুগ্ম-আহ্বায়ক পরিমল দেব, মমতাজ উদ্দিন, খোরশেদ পাশা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কল্পনা লালা, জীবন আরা বেগম, শাহীন আক্তার সানা, ফাহমিদা, ফৌজিয়া আক্তার, হাসিনা চৌধুরী, রুমা আকতার, রোকেয়া বেগম প্রমুখ।
নাগরিককে স্বার্থ সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ : জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক, সাবেক গণ-পরিষদ সদস্য, ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী জননেতা আবদুল্লাহ আল হারুনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক বার্তা জানিয়েছেন নাগরিককে স্বার্থ সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার দাশ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুুরুল আবছার।
নেতৃবৃন্দ যুক্তবিবৃতিতে বলেন, ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী আবদুল্লাহ আল হারুন আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করে গেছেন। জীবনে কখনো স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের সাথে আপোষ করেননি। রাজনীতির বাইরেও তিনি একজন সফল সংগঠক হিসেবে চট্টগ্রামে একুশে মেলা, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্যোক্তা হিসেবে ভূমিকা রেখে গেছেন। চট্টগ্রামে বেসরকারি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির উন্নয়নেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি রাজনীতিকে মানুষের হৃদয়ে, মানুষকে সেবার ফ্লাটফর্ম হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন। নির্লোভ ও নিরহংকারী মনের ব্যক্তি হিসেবে জননেতা আবদুল্লাহ আল হারুন জনমানুষের জন্য সবসময় কাজ করে গেছেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর