সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ক্রিকেট মাঠে কত রেকর্ড গড়েছেন-ভেঙেছেন সে হিসাব হয়তো সাকিব আল হাসানের নিজেরই জানা নেই! অসাধারণ, অনবদ্য, অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয়–কোনও বিশেষণই এখন আর যথেষ্ট নয় তার জন্য। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই এর জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকলেন। রবিবার শ্রীলঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিসাঙ্কাকে বোল্ড করে পাকিস্তানি গ্রেট শহীদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
এবারের ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন আফ্রিদির থেকে ৯ উইকেট পিছিয়ে থেকে। ওমানের প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করে ছুঁয়ে ফেলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ককে।
রবিবার পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। ওই ওভারে ৫ রান দিলেও উইকেট পাননি। তবে দুই ওভার বিরতি দিয়ে আবার আসেন। এবার প্রথম বলেই তুলে নেন লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে। আর তাতেই আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে চূড়ায় বসেছেন তিনি। দুই ওভার বোলিং করা সাকিবের এই মুহূর্তে উইকেট সংখ্যা ৪১টি।
বিশ্বকাপে সাকিবের এই সাফল্যের ধারেকাছে কেউ নেই। কেননা, তার নিচে থাকা ছয় বোলারের কেউ আর বিশ্বকাপ খেলছেন না। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা আছেন বেশ নিচের দিকে। কাছাকাছি আছেন ক্যারিবিয়ান দুই ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভো ও স্যামুয়েল বদ্রি। ব্রাভো ২৫ উইকেট নিয়ে ৯ নম্বরে আর বদ্রি ২৪ উইকেট নিয়ে আছেন ১০ নম্বরে।
সাকিব ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলেছেন। টানা সাত বিশ্বকাপ খেলে ২৯ ম্যাচে তার উইকেট ৪১। সাকিবের চেয়ে ৬ ম্যাচ বেশি খেলা আফ্রিদির উইকেট ৩৯। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের সেরা সাফল্য ছিল ২০১৬ সালে। সেবার বাঁহাতি এই স্পিনার পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছেন ৮ উইকেট। ইতোমধ্যে ১১ উইকেটে নিয়ে আগের সব সাফল্য ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শীর্ষ ৫ বোলার
সাকিব আল হাসান– ২৯ ম্যাচে ৪১ উইকেট
শহীদ আফ্রিদি–৩৪ ম্যাচে ৩৯ উইকেট
লাসিথ মালিঙ্গা–৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট
সাঈদ আজমল–২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট
অজন্তা মেন্ডিস–২১ ম্যাচে ৩৫ উইকেট