সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশের কাছে এই প্রস্তাবটি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রথমে এই প্রস্তাবটি আসে। বাংলাদেশ জানতে চায়, কোন কোন দেশ এগিয়ে এসেছে। তখন কানাডার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ২০ হাজার আফগানকে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। সবকিছু শোনার পর বাংলাদেশ বলেছে, আমাদের পক্ষে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিতে রাজি নয় বাংলাদেশ। ক্ষমতার পালা বদলের পর হাজার হাজার আফগান নাগরিক নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েক লাখ আফগান দেশ ছেড়েছেন। বিমানবন্দরেও দেশ ত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার আফগান।
বাংলাদেশের কাছে এই প্রস্তাবটি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রথমে এই প্রস্তাবটি আসে। বাংলাদেশ জানতে চায়, কোন কোন দেশ এগিয়ে এসেছে। তখন কানাডার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ২০ হাজার আফগানকে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। সবকিছু শোনার পর বাংলাদেশ বলেছে, আমাদের পক্ষে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, আমরা দু’দফা প্রস্তাব পেয়েছি। সোমবার ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে একই প্রস্তাব রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র অনেক বড় দেশ। আপনারা আশ্রয় দেন না কেন? জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুনর্বাসনে প্রস্তুতি দরকার। এই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশ যদি তাদের আশ্রয় দেয়, তাহলে আমরা তাদের ভরণপোষণের যাবতীয় খরচ বহন করবো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিপদে আছি। নাভিশ্বাস উঠেছে আমাদের। আমাদের পক্ষে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়। পররাষ্ট্র সচিবও একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূতকে।
ওদিকে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকসহ যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব পাঠায়নি। তাছাড়া কাবুলের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো ফ্লাইটও নেই।
সূত্র : ভিওএ