সুুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক
এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ১৫৪ রানের পিছনে তাড়া করতে গিয়ে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। এখন ২ জয়ে বাংলাদেশের ৪ পয়েন্ট।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগান-শ্রীলংকার খেলার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে লিটনদের। শ্রীলংকা জিতলে বাংলাদেশের সুপার ফোর নিশ্চিত হবে। আর আফগানরা জিতলে তখন রান রেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম ওভারের প্রথম বলেই আফগানরা অতলের উইকেট হারায়। নাসুমের বলে লেগ বিফোর হয়ে তিনি ফিরে যান। ১৮ রানে ফিরে যান জাদরান ৫ রান করে। তাকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাসুম। দলীয় ৫১ রানে রিশাদ নিজ বলে ক্যাচ নিয়ে নাইবকে (১৪ বলে ১৬) সাজঘরে পাঠান। ১১ রানের ব্যবধানে উইকেটরক্ষক গুরবাজও রিশাদের বলে জাকের আলীর হাতে কাটা পড়লে স্বস্তি ফিরে টাইগার ক্যাম্পে। ১৫ বলে ১৫ রান করা চৌকস তারকা মো. নবীকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। তখন স্কোর বোর্ডে রান উঠে ৫ উইকেটে ৭৭। ওমরজাই মারকুটে ব্যাট চালিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। ১০৯ রানে ১৬ বলে ৩০ রান করা এ ব্যাটারকে তাসকিন শিকার করেন। ১২৪ রানে জানাত সোহানের হাতে রান আউট হওয়ার সময় দলীয় রান ছিল ১২৪।
এরপর মুস্তাফিজ পরপর দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ সুগম করেন। ১৪৬ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান। মুস্তাফিজ ২৮ রানে ৩, নাসুম ১১, তাসকিন ৩৪ ও েিশাদ ১৮ রানে ২টি করে উইকেট নেন। সাইফ হাসান ৩ ওভারে দেন ৩৯ রান। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তুলে। এরপরই শুরু ব্যাটিং ধ্বস। ২০ ওভার শেষে ১৫৪ রানে থামলো বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে ৩১ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তানজিদ হাসান তামিম।
চার পরিবর্তন নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান করেছেন দারুণ ব্যাটিং। তানজিদ তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। তাতেই পাওয়ারপ্লেতে ৫৯ রান তোলে বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশের ওপরে রান দেখলো বাংলাদেশ। সাইফকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রশিদ খান। ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩০ রান করেন সাইফ। তবে ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন তানজিদ তামিম। ২৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তরুণ এ ব্যাটার। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৩১ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ তামিম।
তিনে নামা লিটন দাস এদিন ভালো করতে পারেননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১১ বলে ৯ রান। শামীম হোসেন পাটোয়ারী প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১ বলে ১১ রান। তাওহীদ হৃদয়ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেননি। ২০ বলে করেছেন ২৬ রান। জাকের আলী করেছেন হতাশ। ১৩ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৬ বলে অপরাজিত ১২ রানের ক্যামিও খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নুর আহমেদ ও রশিদ খান।