সুমন শাহ্, আনোয়ারা:
তিনদিন ধরে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানিতে ভাসছে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকা। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে কয়েক শতাধিক ঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ হাজার মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
যথা সময়ে বেড়িবাঁধের মাটির কাজ শেষ না করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে শতাধিক ঘরবাড়ি পস্নাবিত হয়েছে। বারবার ঝড় জলোচ্ছ্বাসে জানমাল হারানো দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস ও পেয়েছি। দুর্নীতি অনিয়ম ছাড়া বাঁধ নির্মাণ হয়নি। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ভেসে যাই বাঁধ। এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। মঙ্গলবার বার আউলিয়া এলাকার সাধারণ মানুষ এমনটায় অভিযোগ করে বলেন।
বার আউলিয়া বাইন্না পাড়া, কবির মিয়ার বাড়ি, ইসমাইল মিয়াজির বাড়ি, সর্দার পাড়া, হাজি কেরামত আলী বাড়ি, মাওলানা আমির হামজার বাড়ি, হাজী বাদশা মিয়ার বাড়ি, কবির মিয়ার বাড়ি ও দড়্গিণ গহিরাসহ উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শতাধিক বসতঘর জোয়ারের পানিতে পস্নাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ। এ ছাড়া জোয়ারের পানিতে পরম্নয়াপাড়া বাতিঘর, গহিরা, ফকির হাট ও সরেঙ্গার যেসব অংশে বস্নক নেই এসব এলাকার বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরম্নরি ভিত্তিতে এসব বাঁধের ভাঙা অংশ শীঘ্রই সংস্কার না করলে যে কোনো মূহূর্তে তলিয়ে যাবে বেড়িবাঁধ। প্রায় ৫শত ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়মের কারণে রায়পুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় প্রায় ২শ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে স্থানীয় বার আউলিয়া জামে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ে। বারআউলিয়া এলাকায় খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি ওঠানামা করছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা শওকত হোসেন আকাশ জানায়, তিন দিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে পুরো গ্রাম। আমাদের বাড়ি ঘর ডুবে গেছে, বাড়ির কারো পড়্গে রান্নাবান্না করাও সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করেছি। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, কয়েকদিন ধরে সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হয়ে বার আউলিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে মানুষের বাড়িঘর, মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থান ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। এতে করে এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সৃজন চাকমা (০১৮২২-৯০৩৪৪৫) নাম্বারের একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোন ধরেননি।