সংবাদদাতা, আনোয়ারা »
আনোয়ারা উপকূলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং রেখে গেছে তা-বের চিত্র। উপজেলার গহিরা উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, বেড়িবাঁধের উপর বালির বস্তার ব্যারিকেড দিয়েও ঠেকানো যায়নি পানি। বেড়িবাঁধ ডিঙিয়ে ওঠা পানি রাতে নেমে গেলেও ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রেখে যায় উপকূলজুড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক ঘরের খুঁটি পড়ে গেছে। ভেঙে গেছে অনেক গাছপালা। মানুষের প্রাণনাশের ঘটনা না ঘটলেও মারা গেছে গবাদিপশু।
এছাড়া গহিরা এলাকার হাড়িয়া পাড়া, ঘাটকুল, নজু মিয়া খালের শতাধিক বসতঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে সরেঙ্গা, বারশতসহ কয়েকটি এলাকার ফসলের। মাছের প্রজেক্ট ডুবে মাছ চলে যাওয়ায় বিভিন্ন বয়সের মানুষের খালে-বিলে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে।
উপজেলার বারশত ইউনিয়নের রিফাত হোসেন নামের এক যুবক জানান, এখানে জমির ফসল এবং বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুর ডুবে মাছ চলে গেছে।
গহিরা এলাকার ফজলুল করিম জানান, রাত ১০টা থেকে ঘরে পানি ঢোকা শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত আমাদের ঘর পানির নিচে তলিয়ে থাকে। মহিলা, শিশু ও গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে চলে গেলেও ঘরের আসবাবপত্র কিছুই বের করতে পারিনি।
পূর্ব গহিরার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুনির উদ্দিন বলেন, সারারাত মাইকিং করে সর্বসাধারণকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছি। সকালে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, আমার এলাকার তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মাঝে মাঝে ভেঙে গেছে। ওইসব জায়গা দিয়ে পানি ঢুকে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পুরোপুরি জানা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আনোয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়নি। তবে উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছিলো। তবে রাতেই পানি নেমে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।