সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে মানব পাচার মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (২৩ জুলাই) মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন।
সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এক মামলায় ভুক্তভোগী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন ওই নারী। তবে তিনি আদালতে দাবি করেন, তিনি কিছুই জানেন না। তখন আদালত তার আগের জবানবন্দি ও মেডিকেল পরীক্ষার কাগজপত্র উপস্থাপন করে।
তিনি আরও বলেন, ওই নারী এরপরও আগের বক্তব্য থেকে সরে না এসে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া অব্যাহত রাখেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত বলেন, এটি বিচার প্রক্রিয়ার অপব্যবহার এবং মানব পাচার দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন নারীকে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেন চারজন। পরে তাদের টাকার বিনিময়ে যৌনকর্মেও বাধ্য করা হয়। পরে কৌশলে পালিয়ে এসে এক নারী বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন এক ভুক্তভোগী।
পরে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে একটি এবং মানব পাচার আইনে যৌনকর্মে বাধ্য করার অভিযোগে আরেকটি পৃথক অভিযোগপত্র দেয়। দুটি মামলাতেই তিন ভুক্তভোগী নারী সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাটি বিচারাধীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। আর মানব পাচার আইনের মামলাটি চলছে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে।