সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রস্তুতি চলছে অনেকদিন ধরেই। এই তো গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে এশীয় যুব ক্রিকেটের শিরোপা জিতে দেশে ফিরেছে বাংলার যুবারা। দেশে ফিরেও বিশ্রাম মেলেনি তেমন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে শেরে বাংলায় চলেছে অনুশীলন। টানা অনুশীলন শেষে অবশেষে সময় ঘনিয়ে এলো যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাবার। আর দেরি নয়। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যুব বিশ্বকাপ খেলতে গেছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। এদিকে গত কয়েকদিন অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটলেও শনিবার দুপুরে রাব্বি, আশিকুর রহমান শিবলী, জিসান আলম ও আরিফুল ইসলামদের দেখা মিললো কেতাদুরস্ত অবস্থায়। যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে দুপুরে শেরে বাংলায় ছিল যুব দলের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। সবাইকে দেখা গেল ছাই রঙের স্যুটে। মধ্যরাতে বিমানে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে উৎসবমুখর পরিবেশে কাটলো ক্রিকেটারদের। আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে যুব বিশ্বকাপের এবারের আসর। চার বছর আগে ২০২০ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। আকবর আলীর নেতৃত্বে পারভেজ ইমন, তানজিদ তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, তাওহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন দিপু, শরিফুল ইসলাম আর তানজিম সাকিবরা ভারতীয় যুবাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছিল। তার ২ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পারফরম্যান্স ও ফল তেমন ভালো হয়নি। অষ্টম হয়ে দেশে ফিরেছে টাইগার যুবারা। আর এবার যাচ্ছে আকাশছোঁয়া আত্মবিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে। এক মাস আগে আরব আমিরাতের মাটিতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা , আফগানিস্তান ও স্বাগতিকদের পেছনে ফেলে এশীয় যুব ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে রাব্বির দল। তাই প্রত্যাশা বেড়েছে বহুগুণে। দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠ, ‘অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। দলের অবস্থাও খুব ভালো। আমি এই দল নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট। সবাই আমাকে খুব সাহায্য করে।’ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপে সেই ভারতের বিপক্ষেই উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে হবে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক কোনোরকম বাড়তি চাপ ও চ্যালেঞ্জ অনুভব করছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে ধরনের উইকেটে এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল খেলেছি, সেই উইকেট আর দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন প্রায় একই। কোনো চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে হয় না। একটি ম্যাচ খেললেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’ যুব অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমাদের দলের খেলোয়াড়ই বড় শক্তি। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগেই ভালো খেলোয়াড় আছে। যত কম ভুল করা যায়, সেই চেষ্টাই করবো।’ দলের তারকা মিডলঅর্ডার আরিফুল ইসলামের আছে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। আরিফুল তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান এবারের বিশ্বকাপে। আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আরিফুলের আত্মবিশ্বাসী সংলাপ, ‘ এশিয়া কাপে আমরা ভালো খেলেছি। আরেকটি টুর্নামেন্টে দলের সবাই সেটা দেখাতে চায়। আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে চায় সবাই। দলের মধ্যে যে ভালো সম্পর্কটা রয়েছে, সেটা ধরে এগোতে পারলে ভালো ফল সম্ভব।’ খবর জাগোনিউজ’র