আট বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন খালেদা জিয়া

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আট বছর পর ঈদ উদযাপন করছেন তার ছেলে, পুত্রবধূ, এবং নাতনীদের সঙ্গে লন্ডনে। রোববার (৩০ মার্চ) গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, “আলহামদুলিল্লাহ, বেগম খালেদা জিয়া এখন লন্ডনে ভালো আছেন। আজকের ঈদটি তিনি পরিবারের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আট বছর পর উদযাপন করছেন, যা আমাদের জন্য একটি সুখবর।”

ফখরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে, “এটা নিশ্চিত নয়, তবে সম্ভবত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।”

৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছান খালেদা জিয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, “তিনি বর্তমানে তার বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন এবং ঈদের দিনটি পরিবারের সঙ্গে একান্তে কাটাচ্ছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, এবং নাতনীরা (তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান এবং কোকোর দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান) উপস্থিত রয়েছেন, যারা ঈদের সব আয়োজন করেছেন। দীর্ঘদিন পর মা তাদের সঙ্গে ঈদ করছেন, তাই আবেগাপ্লুত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”

এটি খালেদা জিয়ার লন্ডনে তৃতীয় ঈদ উদযাপন। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে তার ছেলের বাসায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন, এবং ২০১৫ সালে প্রায় আট বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করেছিলেন।

চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ আরও জানান, “খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তিনি দেশবাসী এবং দলের নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, এবং তার ছেলে তারেক রহমানও দেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”

গত ৮ জানুয়ারি, শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন, এবং পরে তার ছেলের বাসায় চিকিৎসা চলছিল, যেখানে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন, এবং পরবর্তী কয়েকটি ঈদ তার কারাগারে বা হাসপাতালে কাটে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে তিনি মুক্তি পান। তার পরেই দুর্নীতির মামলার রায় বাতিল করে আদাল