নিজস্ব প্রতিবেদক »
আজ বছরের প্রথম দিন। সারাদেশে পালন করা হচ্ছে বই উৎসব। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে উঠবে নতুন বই। কিন্ত চট্টগ্রামে সব শিক্ষার্থী সব বই পাবে না। তারমধ্যে প্রাথমিকে ৪৯ এবং মাধ্যমিকে ৪৪ শতাংশ বই পাবে না। তবে জানুয়ারি মাসেই সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য চট্টগ্রামের প্রাক-প্রাথমিকে নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ২৯৭টি। এরমধ্যে বই এসেছে ২৫ লাখের মতো। যা হারে ৫১ শতাংশের মতো। বাকি ৪৯ শতাংশ বই পাবে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকে বই এসেছে ৫১ শতাংশ। তবে প্রতিনিয়ত বই আসছে। সংখ্যাটা আজকেও কিছুটা বাড়বে। বইয়ের শতাংশ কমার কারণ হলো সব বিষয়ের বই আসে নি। তবে সব স্কুলে বই যাবে। কোনো উপজেলায় বাংলা বই, অংক, গণিত নেই কিন্তু সেখানে বাকি বইগুলো পেয়েছে। সেখানে সেগুলোই দেওয়া হবে। অর্থাৎ যে উপজেলায় যে বই গেছে সে বইগুলোই দেওয়া হবে। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণিতে প্রায় ৮০ শতাংশের মতো বই পাবে। কিন্ত প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে খুবই কম বই আমরা হাতে পেয়েছি। তবে আশা রাখছি জানুয়ারির মধ্যে সবার হাতে নতুন বই উঠবে।’
এছাড়া মাধ্যমিকে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। সেখানে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বই এসেছে। তার মধ্যে সাধারণ শিক্ষায় ৫৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৬১ টি এবং মাদ্রাসায় ২৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪১ টি বই এসেছে। সর্বমোট প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৮৮ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০২ টি যা হারে ৫৫. ৯৯ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকে বই পাবে না ৪৪ শতাংশ।
বইয়ের ঘাটতি নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, ‘প্রতিদিনই তো বই আসছে। যা বই পাওয়া গেছে, সেগুলো দিয়ে বই উৎসব করা হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বই পাবে। ১১ টা বিষষের বই থাকলে সেখানে হয়তো ৭ টা বই পাবে। বাকি থাকবে ৩-৪ টা। সেগুলো জানুয়ারি মাসেই দেওয়া হবে।’
২ জানুয়ারি থেকে পাঠদান শুরু হবে। যে বইগুলো শিক্ষাথীরা হাতে পায় নি সে বিষয়ের শিক্ষকরা কিভাবে পাঠদান করাবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বইগুলো যদি হাতেই না পায় সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা ওই বিষয়ের উপর আমাদের ওয়েব সাইট থেকে সফট কপি নামিয়ে পাঠদান চালিয়ে যেতে পারবেন। আমরা অবশ্যই এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দিইনি। তবে যদি না আসে শিক্ষকরা সফট কপি নামিয়ে নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বইয়ের যে সংকট রয়েছে তা জানুয়ারির মধ্যে সমাধান হবে। পাঠদান নিয়ে ব্যাঘাত ঘটার কোনো কারণ নেই। কেননা পুরো জানুয়ারির মাসই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই খেলার অনুষ্ঠান হয়। তখন পাঠদানের চাপ থাকে না।’