সুপ্রভাত ডেস্ক »
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়েছে আজ থেকে। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই আবেদন প্রক্রিয়া।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখে পিএসসি।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।
৪৭তম বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়। শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
তবে অনিবার্য কারণে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
আবেদন ফরম পূরণের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-
১. কম্পিউটার দোকান বা অন্য কারো মাধ্যমে না করে নিজে নিজে আবেদন ফরম পূরণ করার চেষ্টা করুন।
২. এসএসসি সার্টিফিকেটে প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ যেভাবে আছে, সেভাবেই আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এসএসসি সার্টিফিকেটে নেই এমন কোনো নতুন শব্দ নামের সঙ্গে যোগ করা যাবে না।
৩. Employment Status (চাকরির তথ্য) অপশনে প্রার্থী চাকরিজীবী হলে সে তথ্য উল্লেখ করতে হবে। প্রার্থী সরকারি চাকরিজীবী হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আবেদন করুন। এর ফলে সরকারি বিধি ও ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে। এ ছাড়া মৌখিক পরীক্ষার সময় এনওসি নিতে সুবিধা হবে।
৪. বিজ্ঞপ্তিতে কোনো কোনো ক্যাডারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত উচ্চতার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই শর্তের সঙ্গে প্রার্থীর উচ্চতা না মিললে সেই ক্যাডার পছন্দক্রমে রাখা ঠিক হবে না। প্রাথমিকভাবে এটা সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তীতে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অপরাধে চাকরি চলে যেতে পারে।
৫. মেয়েদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানায় বাবার বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন।
৬. আবেদনের পর পরীক্ষার কেন্দ্র ও ক্যাডার পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাই আবেদনের সময়ই এ ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
৭. স্নাতকের বিষয় বা ডিগ্রি অপশনে আপনার পঠিত বিষয়ের নাম না থাকলে Others অপশনে বিষয়ের নাম লিখুন।
৮. প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষার সব কার্যক্রম যদি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে শেষ হয়, তাহলে ৪৭তম বিসিএসে অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। মৌখিক পরীক্ষার সময় ‘অ্যাপিয়ার্ড প্রত্যয়নপত্র’ জমা দিতে হবে।
৯. আবেদনের সময় দেওয়া পাসপোর্ট আকারের ছবিতে ক্লিনিক্যাল চশমা ও হিজাব ব্যবহার করা যাবে। তবে মুখমণ্ডল স্পষ্ট থাকতে হবে।
১০. আবেদনের পর পাওয়া ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন। পরবর্তী কার্যক্রমে এগুলো দরকার হবে। বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনের নির্দেশনাসহ বিস্তারিত জানা যাবে পিএসসির ওয়েবসাইট (https://bpsc.gov.bd) থেকে।