আজিজ খান ও তার স্ত্রী-মেয়ের ৭১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

সুপ্রভাত ডেস্ক »

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, তার স্ত্রী-মেয়ের প্রায় ৭১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে কারণে তাদের নামে পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অর্থপাচারের প্রমাণ মিলেছে।

দুদক জানিয়েছে, আজিজ খানের নামে ৩৩০ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ১০৯ টাকা, আঞ্জুমান আজিজ খানের নামে প্রায় ৯২ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯ টাকা এবং কন্যা আয়েশা আজিজ খানের নামে প্রায় ২৮৭ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৯৬৪ টাকার অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খানের নামে প্রায় ৩৩০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তার নামে কোনো স্থাবর সম্পদ বা দায়-দেনার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আয়কর নথিতে তিনি কোনো স্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ না করায় তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে দুদক মনে করে।

অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, তার ঘোষিত আয় ও প্রাপ্ত সম্পদের মধ্যে সুস্পষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে এবং তিনি সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খানের নামে প্রায় ৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তার আয়কর নথিতে প্রদর্শিত সম্পদের মূল্য প্রকৃত মূল্যের তুলনায় অনেক কম বলে দুদকের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এক্ষেত্রে আয়ের সঙ্গে সম্পদের অসামঞ্জস্যতা ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে।

অন্যদিকে তাদের কন্যা আয়েশা আজিজ খানের নামে প্রায় ২৮৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আয়কর নথিতে প্রদর্শিত সম্পদের মূল্য প্রকৃত সম্পদের তুলনায় কম এবং তার আয়ের সঙ্গে এ সম্পদের কোনো সামঞ্জস্য নেই।

এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী মোহাম্মদ আজিজ খান, আঞ্জুমান আজিজ খান ও আয়েশা আজিজ খানের নামে পৃথক পৃথকভাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। দুদকের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের যৌথ একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।