আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম

রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। ছবি: সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি »

আগামী মাসেই (আগস্টে) ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে চায় রামগড় স্থলবন্দর। যদিও কয়েক দফা ঘোষণার পরেও কথা রাখতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এবার ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর হওয়ায় বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য ভারতের অনাপত্তিপত্র সময়মতো না পাওয়ায় স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণকাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। যার ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হয়। সেসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়ায় নতুন করে স্টিল স্ট্রাকচারে নির্মিত হচ্ছে চারতলা বিশিষ্ট স্থলবন্দর প্রশাসনিক ভবন ও দোতলা ইমিগ্রেশন ভবন। তবে, অবকাঠামো নির্মাণে সময় লাগলেও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তত বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম, ইউএনও মমতা আফরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, রামগড় ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ, স্থলবন্দর ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন, প্রকৌশলী রুহুল আমিন, অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাসসহ অনেকে।

রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সরোয়ার আলম জানান, শুরু থেকে রামগড় ইমিগ্রেশন নামকরণ করা হলেও গত বছরের ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রামগড় স্থলবন্দরের এই ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন নামকরণ করেন ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, রামগড়।

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন জানান, রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত পথে ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরাসহ আশেপাশের রাজ্যের মানুষও এ সীমান্ত পথে বাংলদেশে ভ্রমণে আসতে পারবেন। দক্ষিণ ত্রিপুরার মহকুমা শহর সাব্রুম থেকে ইতিমধ্যে আগরতলা পর্যন্ত রেল সার্ভিসও চালু করা হয়েছে বলে জেনেছি। ওখানে মহাসড়কেরও উন্নয়ন করা হয়েছে।