সুপ্রভাত ডেস্ক »
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা নিয়ে টানা হেঁচড়ার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড ও ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে।
সোমবারের ঘটনার পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে একাধিকবার পুলিশ
আগরতলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পুলিশ যথেষ্ট সংখ্যাতেই ছিল। সহকারী হাইকমিশন পরিসরের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে ২৬০ জন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু গোটা ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। আমরা কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দিই। তবে ওই কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়ে যায়।
“নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস এবং পুলিশ বাহিনী ছিল। তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবুও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বাহিনীর তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে আর যে ডিএসপি সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাকে ক্লোজ করা হয়েছে,” জানিয়েছেন ওই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।
আগরতলা পুলিশের জারি করা পৃথক দুটি আদেশে যে ৪ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তারা হলেন, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এসএসএফের সহকারী কমান্ড্যান্ট কান্তি নাথ ঘোষ, উপ-পরিদর্শক দিলু জামাতিয়া, দেবব্রত সিনহা ও জয়নাল হোসেন।
এছাড়া এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, সীমান্ত গোলচক্কর এলাকার ঝুতন দাস, দশমীঘাটের উজ্জ্বল দাস, অভয়নগরের দীপ্তনীল ভৌমিক, আগরতলার আমতলী এলাকার সুরজা দাস, দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ার ঝুলন মালাকার, ৭৯ টিলা এলাকার প্রদীপ সাহা এবং অলক মজুমপুরের অলক মজুমদার।