নিজস্ব প্রতিবেদক »
আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আকবর পড়ে যাওয়ার ১৪ দিন অতিক্রম না হতেই ফ্লাইওভার থেকে পড়ে আরো এক আকবরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী আলী আকবর বলির হাট এলাকার বাসিন্দা বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মেয়র গলি থেকে ফ্লাইওভারের লুপে উঠে ২ নম্বর গেইট এলাকার ষোলশহর কবরস্থান বরাবরে তিনি পড়ে যান।
ষোলশহর কবরস্থানের সামনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পরপর ফ্লাইওভার থেকে একটি লোক রাস্তায় পড়ে যান। কবরস্থানের সামনে থাকা এক মোটরসাইকেল আরোহীর ওপর পড়ে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তার পরনে একটি ছাই রঙের শার্ট ও ক্রিম কালারের প্যান্ট ছিল। তবে তার পায়ে কোন জুতা ছিল না। এ লোকের বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের ভেতরে হতে পারে। ফ্লাইওভার থেকে পড়ে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ কল করা হলে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যান।
আলী আকবরকে উদ্ধার করা পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান খান সুপ্রভাতকে বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।’
চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আলী আকবর মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ছিলেন। তার মুখ থেকে মদের গন্ধ পাওয়া গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্লাইওভারে উঠে তার চপ্পল পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ধারণা মতে, মদ্যপ থাকায় অসতর্কতা বশত পড়ে যেতে পারে। তবে ফরেন্সিক রিপোর্টে বুঝা যাবে মূল ঘটনা। পরিবারের সন্ধান পেতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়েছে।’
পাঁচলাইশ থানার সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ জামাল সুপ্রভাতকে শেষ সংবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘রাত ৯ টা বাজলেও ২ নম্বর গেইট এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে পড়ে মৃত আলী আকবরের পরিবারের সন্ধান মেলেনি।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে পড়ে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আকবর নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও এই আকবরের মৃত্যু রহস্য এখনো অজানা রয়ে গেছে।