সুপ্রভাত ডেস্ক »
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে প্রকাশ্যে আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না সংগঠনটি। প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে কোন আলোচনা হয়নি।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রস্তাব এসেছে। সবার ঐকমত্য হওয়ার বিষয় আছে। বৃহত্তর সংলাপের বিষয়, সব দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে-সব ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম চলমান আছে। ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের প্রচার যেন না হয় সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে।’
একই প্রসঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সব আন্দোলনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসীর ভূমিকায় দেখেছি। জুলাই গণহত্যার পরই যে ছাত্রলীগ থেমে গেছে তা নয়। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছাত্রলীগ। অন্য কোনো রাজনৈতিক সংস্থাকে নিষিদ্ধের আলোচনা হয়নি।’
গত বুধবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।