সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
ভিলেন করোনা ক্রিকেটপ্রেমীদের থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেড়ে নিয়েছে আইপিএল। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রশ্নই উঠছে না। যা পরিস্থিতি তাতে এবছর ভারতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হওয়া একপ্রকার অসম্ভব। শেষপর্যন্ত যদি এই কোটি টাকার টুর্নামেন্ট বাতিল করতে হয়, তাহলে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে ভারতীয় বোর্ডের। এমনটাই বলছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল।
করোনার জেরে সব শিল্পই কমবেশি প্রভাবিত। ব্যতিক্রম নয় ক্রিকেটও। অধিকাংশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল। অধিকাংশ বোর্ডই সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করতে পারেনি। যার জেরে শুধুমাত্র বিসিসিআই এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া আর সব বোর্ডের অবস্থা শোচনীয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে আছে আইপিএল। যা কিনা ভারতীয় বোর্ডের রোজগারের মুল উৎস। এহেন মেগা টুর্নামেন্ট বাতিল হলে বোর্ড যে চাপে পড়বে তা মেনে নিচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল। তিনি বলছেন, ‘বোর্ড ধরেই নিচ্ছে বিরাট অংকের রোজগার কমবে। যদি আইপিএল না হয়, তাহলে লোকসানের অংকটা ৪ হাজার কোটি ঃটাকা পর্যন্ত হতে পারে।’
শুধু আইপিএল নয়, অন্য ম্যাচগুলি বাতিল হওয়ার ফলেও মোটা লোকসান হচ্ছে বোর্ডের। ধূমল অবশ্য এখনই হিসেব কষে বলতে পারছেন না মোট লোকসানের পরিমাণ কত হবে। তিনি বলছেন,‘আমরা জানি না এবছর আইপিএল আদৌ হওয়া সম্ভব কিনা। আমরা লোকসানের অংকটা তখনই পুরোপুরি বুঝতে পারব যখন জানব ঠিক কটা ম্যাচ বাতিল হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে কর্মী ছাঁটাই করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের বেতন কমিয়েছে। তবে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ বলছেন, আমরা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করব, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ না করার। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই হিসেব-নিকেশ করে দেখতে হবে লোকসানের অংকটা কত।
খবর সংবাদপ্রতিদিন’র।