আইন-বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জনবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনার আমলে এমন কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি যে আইন জনগনের স্বার্থের পরিপন্থি। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তিনি সব সময় এমন আইন প্রণয়ন করার পক্ষে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হোক, এমন আইন শেখ হাসিনার আমলে হবে না। তিনি বলেন, প্রণীত সকল আইনেই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
আইনমন্ত্রী গতকাল জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে সমিতির সদস্যদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্যাদি সফটওয়ারের মাধ্যমে পরিচালনা করার লক্ষ্যে সফটওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোক্তার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন, দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিনসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বিশ^াসী। বিজ্ঞ আইনজীবীদের আয়-রোজগারের বিষয় চিন্তা করে এবং বিচার কাজ সচল রাখার জন্য করোনাকালে ভার্চুয়ালি কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা করেছেন। চট্টগ্রামে বিচারকশূন্যতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিচারক নিয়োগের পাশাপাশি সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের কাজ চলছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নৌফেল বলেন, আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এ সফটওয়ার তৈরির ফলে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে আইনজীবীদের সেতুবন্ধন তৈরি হলো। তিনি বলেন, এক শ সাতাশ বছরের পুরোনো আইনজীবী সমিতি আজ তথ্যপ্রযুক্তির সাথে যুক্ত হয়ে সমিতিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তিনি সকল সহযোগিতা করবেন বলে এ সময় আশ^স্ত করেন।
মহিবুল হাসান আরও বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের অনিয়ম দূর করার জন্য কাজ করেন আইনজীবীরা। সেজন্য ভূমি আইন প্রনয়ণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আইনজীবীদের পরামর্শ নেয়া হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আইনজীবীদের চেম্বার ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের নিবন্ধন, লাইব্রেরি হতে বারকোড স্টিকারের মাধ্যমে বই প্রদানসহ সকল কাজ এ সফটওয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। বিজ্ঞপ্তি