নিজস্ব প্রতিনিধি, লোহাগাড়া »
লোহাগাড়ায় সুখছড়ি রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ স্থাপনায় চরম কষ্টের মধ্যে। ২০২০ সনের অক্টোবর মাসে নতুন ভবন নির্মাণের নিমিত্তে এ বিদ্যালয়ে মূল ভবন ভেঙে ফেলা হয়। অব্যাহত পাঠদান কার্যক্রমের জন্য বাঁশের খুঁটি, বাঁশের তৈরি বেড়া ও টিনের চাউনি দিয়ে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। তখন থেকে উক্ত অস্থায়ী স্থাপনায় পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছে। নড়বড়ে উক্ত স্থাপনাটি ঝড়-বৃষ্টিতে এ পর্যন্ত কয়েকবার বিধ্বস্ত হয়। এতে পাঠদান কার্যক্রম দুরূহ হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড তাবদাহে ও বৈরী আবহাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয় ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
সুখছড়ি রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের জন্য বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে এমডিএসপি চট্টগ্রাম প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকার স্টিল লি. টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করার অনুমতি পায়। তাই, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামে ভেঙে ফেলা হয় গত ২০২০ সনে। নতুন ভবনের জন্য প্রাথমিক কাজ পাইলিং গত ২০২১ সনের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে, বর্তমান ১৭০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের কাজ দ্রুত শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হেলাল মিয়া নামে এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানান, নানা কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।