সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ব্যবসা করতে হলে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দুর্যোগ দুর্বিপাক কাউকে বলে আসে না। তবে ব্যবসায়ীরা পরিবেশ ঠিক রাখতে পারলে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব। নগরীতে যেসব মার্কেট আছে প্রায় মার্কেটে ব্যবসায়িক পরিবেশ নেই বললেই চলে। এ জন্য দায়ী যারা ব্যবসা করেন তাদের অসাবধানতা। সম্প্রতি জহুর হকার্স মার্কেটে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাও অসাবধানতা কারণে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষতার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য পানির যে উৎস প্রয়োজন তা নেই। একটি রিজার্ভার তৈরির করার জন্য অনেক আগে থেকে সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তিনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার সকালে পৌর জহুর হকার্স মার্কেটে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, কাজী মাহমুদুল হক, আলহাজ্ব আবু জাফর, জালাল উদ্দিন, এম এ সালাম, সাহাবুদ্দিন ও প্রদীপ বড়ুয়া।
মেয়র আরো বলেন, নগরীর পৌর জহুর হকার্স মার্কেটটি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ক্রেতা সাধারণের চলাচলের জন্য যেসব অলিগলি আছে তাও ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য রেখে চলাচলের অযোগ্য করে রেখেছেন। যে কারণে ক্রেতা সাধারণদের ভোগান্তি হয় অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনা ঘটলে তা প্রতিহত করতে বেগ পেতে হয়। ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি করার কারণে মার্কেট পরিচালনা করার জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে যে কমিটি গঠন করা হতো তা দীর্ঘদিন থেকে নেই। তিনি নিজেদের মধ্যে দলাদলি পরিহার করে অবিলম্বে শৃঙ্খলার মধ্যে আসার আহ্বান জানান, নয়তো চসিক মার্কেট পরিচালনার দায়িত্ব নেবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
মেয়র ফায়ার সার্ভিসের সাথে কথা বলে মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য পানির উৎস হিসেবে একটি রিজার্ভার তৈরি ও ওয়াসার মাধ্যমে ফায়ার হাইড্রেইনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। তিনি ব্যবসায়ীদের অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম মজুদ রাখার জন্য এখন থেকেই উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান। তিনি মার্কেটের অলিগলি দখল করে যে জঞ্জাল তৈরি করা হয়েছে তা নিজেদের উদ্যোগে সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি