অরক্ষিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিপদ বাড়াবে দেশের

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মহা ফাঁফরে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। বাড়তি জনসংখ্যার বোঝা তো আছেই সে সঙ্গে তারা দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে দিনদিন। আর শুরু থেকেই তারা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংকট তৈরি করছে।
২০১৭ সালে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর তাদের জন্য আশ্রয়শিবির করে দেয় সরকার। বর্তমানে ক্যাম্পগুলোতে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করে।

সুপ্রভাতের প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, উখিয়ার পাহাড়ি জনপদের ৮ হাজার একরজুড়ে গড়ে ওঠা ৩৩টি ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে রাখতে সে সময় নির্মাণ করা হয়েছিল কাঁটাতারের বেড়া।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে কিছু ক্যাম্পে কেটে ফেলা হয়েছে কাঁটাতার। এর মধ্যে পানবাজার ক্যাম্পে অন্তত ছয়টি পয়েন্টে কেটে তৈরি করা হয়েছে গোপন পথ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব কাজ করছে রোহিঙ্গারাই। এই গোপন পথ ব্যবহার করে ক্যাম্পের বাইরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে অনেক রোহিঙ্গারা। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পড়তে হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জে।
বিজিবি জানায়, দুষ্কৃতিকারীরা কাঁটাতার কেটে ফেলার পর সেগুলো আর মেরামত করা হয়নি। ফলে ওই পথ ব্যবহার করে কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমনকি স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীও তাদের সঙ্গে জড়িয়ে অপরাধে অংশ নিচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করছে, স্থানীয়দের প্রশ্রয়েই রোহিঙ্গারা এই সুযোগ পাচ্ছে।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, কেবল কাঁটাতার নয়, ক্যাম্পে স্থাপিত ৭০০ সিসিটিভির একটিও এখন আর সচল নেই। কাজেই ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে বলে মনে করতে হবে। আমরা অবাক হচ্ছি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দেখে। কারণ সাত শ সিসি টিভি তো আর একদিনে নষ্ট হয়নি। এতদিন কর্তৃপক্ষ নিরবতা পালন করল কীভাবে! এসব ধ্বংসাত্মক তৎপরতার মূল কারণ মাদক ও অস্ত্রের কারবার বলে স্বীকার করেছেন রোহিঙ্গা নেতারা। তাহলে কি এই সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যেই এমন নিরাপদহীন রাখা হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে।