সুপ্রভাত ডেস্ক :
নেপোটিজম বিতর্কে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে বলিউড। একদিকে রয়েছে স্টার কিডদের শিবির। আরেক দিকে বাইরে থেকে আসা অভিনেতারা। এরই মধ্যে অভিনেতা অভিষেক বচ্চন জানিয়েছেন, সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের ছেলে হয়েও তাকে যথেষ্ট স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। এক সময় ফিরিয়ে দিয়েছেন বহু পরিচালক ও প্রযোজক।
ইনস্টাগ্রাম পোস্ট এর মাধ্যমে অভিষেক জানিয়েছেন প্রথম ছবিতে অভিনয় করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল তাকে। তিনি বলেছেন বহু পরিচালক ও প্রযোজক এর সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশিরভাগই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
অভিষেক জানাচ্ছেন ১৯৯৮ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বলিউডে পা রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। সমঝোতা এক্সপ্রেস নামে একটি ছবির মাধ্যমে দুজনে একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন’। তিনি লিখছেন, ‘অনেকেই জানেন না ১৯৯৮ সালে আমিও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা একসঙ্গে বলিউডে কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। অনেক কষ্ট করেও এমন কাউকে পাইনি যারা আমাদের লঞ্চ করবে। আমি এমনকি ভুলেও গিয়েছি আমি কতজন প্রযোজককে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে দিয়ে অভিনয় করানোর জন্য। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। আমরা বন্ধু ছিলাম এবং ঠিক করেছিলাম এমন একটা কিছু তৈরি করব যেখানে রাকেশ পরিচালনা করবে এবং আমি অভিনয় করব। এভাবেই আমরা সমঝোতা এক্সপ্রেস এর কথা ভেবে ছিলাম।’
কিন্তু সেই ছবি আর হয়নি। ২০০২ সালে জেপি দত্তর চোখে পড়ে যান অভিষেক। আখরি মুঘল ছবি তৈরির জন্য অভিষেকের লোক জেপি দত্তর পছন্দ হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু সেই ছবিটি আর হয়নি। বদলে জেপি দত্তর রিফিউজি ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অভিষেক বচ্চন।
তারপরে বহু বছর পর রাকেশ এবং অভিষেক একসঙ্গে একটি ছবিতে কাজ করেন। বহু বছর পর দুই বন্ধুর স্বপ্ন সত্যি হয়। রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার দিল্লি ৬ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। এই ছবিতে ছিলেন ওয়াহিদা রহমান এবং সোনম কাপুর। অভিষেক বলছেন, ‘ছবির কি দারুণ কাস্ট ছিল। আমরা একটা পরিবারের মত ছিলাম। শুটিং এর পরেও আমরা পরিবারের মত থাকতাম। দারুণ সমস্ত সিনিয়র অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
বিনোদন