অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুদকের মামলায় সস্ত্রীক আসামি যুবলীগ নেতা বাবর

সুপ্রভাত ডেস্ক »

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২০ আগস্ট) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নওশাদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবরের স্ত্রী ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া দুদকের দাখিল করা বিবরণীতে তিনি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। আবার হেলাল আকবর বাবর এসব সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন। আসামি জেসমিন দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন এবং তার স্বামী হেলাল আকবর অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

হেলাল আকবর বাবর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। তিনি পুলিশ ও র‍্যাবের তালিকাভুক্ত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী। বিশেষ করে রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্য আলোচিত তিনি। রেলের কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে নিয়ন্ত্রণের জেরে ২০১৩ সালের ২৪ জুন বাবর এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। এতে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়। এই জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্যপদ থেকে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে বহিষ্কার করা হয়।

বাবরের বিরুদ্ধে রাউজানের আকবর-মুরাদ হত্যা, বিএনপিকর্মী আজাদ হত্যা, মির্জা লেনে ডাবল মার্ডার, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আশিককে গোলপাহাড় মোড়ে হত্যা, তামাকুমুণ্ডি লেনে রাসেল হত্যা, এমইএস কলেজ থেকে ফরিদ নামের একজনকে ডেকে নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেটে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী অসীম রায় বাবু নিহত হওয়ার পরই দুবাই চলে যান বাবর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে ফিরে আসেন। ২০১৯ সালের ২৯ মে রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুন হলে বাবর আবার দুবাই চলে যান। শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের ছায়ায় কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে আবার রাজনীতি শুরু করেন তিনি।