নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেড়মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে নগরের চার প্রবেশ পথের পুলিশ চেকপোস্ট। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এতদিন চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোস্তাক আহমদ। গতকাল সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, সিটি গেট ও মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত নগরের মূল চারটি প্রবেশ পথে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও গত জুলাই মাস পর্যন্ত চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকা-ের পরের দিন থেকে চেকপোস্টগুলো বন্ধ করে দেয় সিএমপি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রায় দেড়মাস ধরে চেকপোস্টগুলো বন্ধ থাকায় নগরে অবাধে ঢুকেছে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, অবৈধ অস্ত্র ও দাগি আসামি। ফলে নগরে মাদক বিস্তারের পাশাপাশি যেকোন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠতে পারে।
সিটি গেট এলাকার চেকপোস্টের পাশের টং দোকানদার আলম বলেন, ‘গত ৩১ জুলাই টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চেকপোস্টটি বন্ধ ছিল। এরপর থেকে পুনরায় চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অক্সিজেন এলাকার চেকপোস্টে দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্য ছোটন বলেন, তিনদিন আগে থেকে চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্থানীয় দোকানদার মো. ফিরোজ জানান, প্রতিদিন তার দোকানের পাশে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ৪-৫জন পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন থাকছে। এর আগে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে পুলিশের উপস্থিতি ছিল না।