সুপ্রভাত ডেস্ক »
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা রেখে রাস্তায় সমাবেশের জন্য এতদিন গোঁ ধরেছিল বিএনপি। এটি প্রমাণ করেছে তারা ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে চেয়েছিল।’ খবর বাংলাট্রিবিউনের।
শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিশৃঙ্খলা এড়ানোর ব্যবস্থা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে বেআইনি সমাবেশ করায় সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।’
বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির সমাবেশে সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে টুঁ শব্দটুকু হয়নি। যা হয়েছে, তা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি, মারামারি করার কারণে হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। তখন আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের গ্রেফতারের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে ৫০০ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, ৩ হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি পোড়ানো এবং লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় হুকুমের আসামি। তারা আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাজিরা দেয়নি। এখন নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপি কার্যালয়ে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার, চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ সারা দেশে গাড়িতে আগুন দেওয়ার হুকুম দাতা তারা। তাদের নেতৃত্বে এসব হয়েছে বলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৭ ডিসেম্বরের ঘটনা তদন্তের কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, অবশ্যই তদন্ত হবে। পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে বোমা পেয়েছে। কারা বোমা রেখেছিল, কারা বানিয়েছিল, কারা বানানোর টাকা দিয়েছিল এবং পুলিশের উপর কীভাবে হামলা করেছিল, এগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’