সুপ্রভাত ডেস্ক »
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি, এখন নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষও খুঁজে পাচ্ছে না। যে দল অফিসের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কি আন্দোলন করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে কয়েকটা দল তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলিরা ১৪ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে, তারমধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। ইহুদি কিংবা ইসরাইলিদের যারা মদদ দেয় তারা রাগ করবে বলে বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি, একটি অক্ষর কথাও বলেনি। অথচ গাজায় শিশু ও নারীদের হত্যার বিরুদ্ধে তেলআবিবে স্বয়ং ইহুদিরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, মিছিল করেছে। অন্যদিকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে, আমিও প্রতিদিন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।
অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক এম ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটি অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের ন্যায় গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে উপরের দিকে উঁকি দিয়ে কদিন পরপর কর্মসূচি দেয়। তাদের কর্মসূচি কি? গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো এবং স্কুলের মধ্যে আগুন দেয়া। তাই তাদের সাথে এখন আর মানুষ নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানির নিচ দিয়ে এভাবে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। একশত তেত্রিশ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপাড়ে গিয়ে বক্তব্য দেন দেশে কিছুই হয়নি। একইভাবে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে কিংবা ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারে যাবেন তারাও। তবে তাদের উচিত হবে তওবা করে টানেল ও ট্রেনে চড়া।
উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্যসচিব এস এম আবুল ফজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার রশীদ আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুণ উর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আালী শাহ, ইদ্রিস আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ।