সুপ্রভাত ডেস্ক
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৪.৭৪ শতাংশ বেড়ে ৬.৪৪ বিলিয়ন হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এরমধ্যে জাপানে ৪৩.৭৯ শতাংশ রপ্তানি বেড়ে ১.২২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, ভারতে ৫৮.৩৮ শতাংশ বেড়ে ৮৩০.৫১ মিলিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৪২.২২ শতাংশ বেড়ে ৮৮৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। ব্রাজিলে ৭৩.১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আয় হয়েছে ১২৭.৮৮ মিলিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৪.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪৯.৫৫ মিলিয়ন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৫.৭৭ শতাংশ রপ্তানি বেড়ে ২৩০.৪৩ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে।
এদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রচলিত-অপ্রচলিত উভয় বাজারে মোট পোশাক রপ্তানি ১২.১৭ শতাংশ বেড়ে ৩৫.২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আগের অর্থবছর ২০২১-২২ সালের একই সময়ে এ খাত থেকে আয় হয়েছিল ৩১.৪৩ বিলিয়ন ডলার।
এ রপ্তানি আয়ের ৪৯.৯৬ শতাংশ হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বাজার থেকে, ১৭.৭৬ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ১০.৯১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে, ৩.০৯ শতাংশ কানাডা থেকে এবং অন্যান্য অপ্রচলিত বাজার থেকে হয়েছে ১৮.২৮ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চের ১৫.৭৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১১.৭৮ শতাংশ বেড়ে ১৭.৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তবে ইইউ-এর প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি ৪.১৬ শতাংশ কমে ৫.১৪ বিলিয়ন হয়েছে। খবর টিবিএস।
একই সময়ে ফ্রান্স এবং স্পেনে আরএমজি পণ্য রপ্তানি যথাক্রমে ২৫.২৩ শতাংশ এবং ১৮.৮২ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, পোল্যান্ডে পোশাক রপ্তানি কমেছে ১৪.৮৬ শতাংশ।
উল্লিখিত সময়ে ৫.০১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬.২৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাজ্যে ১৪.০৪ শতাংশ রপ্তানির মাধ্যমে ৩.৮৪ বিলিয়ন এবং কানাডায় ১৭.৬৮ শতাংশ নিয়ে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১.০৮ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘বিজিএমইএ নতুন বাজার অনুসন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে, পাশাপাশি ব্যবসাকে আরও সহজ করতে এবং এর সুবিধার্থে নীতি সংস্কারে কাজ করছে।’
‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং সময় এসেছে এই শিল্পে নতুন পণ্য নিয়ে আসার, নতুন বাজারের সামনে আমাদের সক্ষমতা তুলে ধরার। এর মাধ্যমে আমরা এই খাতের প্রবৃদ্ধিকে দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখতে পারবো,’ যোগ করেন তিনি।