চট্টগ্রাম ১৪ দলের সমন্বয়ক, চসিকের সাবেক প্রশাসক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ‘কোন পরাশক্তির নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ পরাভব মানে নি, মানবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্যের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে যে অগ্রযাত্রার দীপশিখা জ্বালিয়েছেন তাকে প্রজ্বলিত রাখতেই হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে রুঁখে দাঁড়ান’।
গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৪ দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র সুরক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা আবার মাঠে নেমেছি বাংলাদেশকে নিরাপদ ও শত্রুমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে। এই প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সকল রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে একই সূত্রে বাঁধতে হবে। ১৪ দলকে চট্টগ্রামের ১৫টি থানা ও ৪৪টি ওয়ার্ডে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক চেতনার সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে একই মঞ্চে দাঁড় করানোর জন্য কাজ শুরু করে দিতে হবে। আমরা জানি ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে সংঘবদ্ধ চেতনা বড় এবং সবচেয়ে বড় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত ৭১ এর অস্ত্রটি। তিনি ১৪ দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আমাদের ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সামষ্টিক স্বার্থের কথা ভাবতে হবে। আমাদের ভাবনার মূল কান্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দল জাগ্রত হয়েছে।
গণসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘একটি দলের আদর্শ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী। এই সৃশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী দলের শক্তি ও ঐক্যের ভিত্তি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি আমাদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তিকে বিনাশ করা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি যদি আবার ক্ষমতায় না আসে এদেশ পাকিস্তান হয়ে যেতে পারে’।
চট্টগ্রাম জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতায় একই মঞ্চে সমবেত হয়েছি। এই জোট কোন নির্বাচনমুখী জোট নয়। এই জোট স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করতে একটি মুক্তমঞ্চ।’
ওয়ার্কাস পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাম্যবাদী দলের অমূল্য বড়–য়া, গণ আজাদী লীগের নজরুল ইসলাম আশরাফি, ন্যাপ মোজাফ্ফরের ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, গণআজাদী লীগের খোরশেদ আলম, জেপি ডা. বেলাল মৃধা, গণতন্ত্রী পার্টির স্বপন সেন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, নীলু নাগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাসান আহমেদ ইমু।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, ন্যাপ এর মো. আলমগীর চৌধুরী, জাসদের বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্কাস পার্টির মনসুর মাসুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি