রাঙ্গুনিয়ায় তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা, অন্ন বস্ত্র এবং বাসস্থান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অন্ন ও বস্ত্রের সমস্যার সমাধান অনেক আগেই করেছেন। এখন গৃহহীনদের মাথা গোাঁজার জন্য ঠাঁই করে দিচ্ছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাসস্থানের সমস্যা এখনও আমাদের দেশে থেকে গেছে। এ সমস্যাকে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্র্ণজয়ন্তিতে সমস্ত গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দেশে কোন গৃহহীন মানুষ থাকবে না- সেই ঘোষণা তিনি দিয়েছেন। ৭০ হাজারের মতো পরিবারের কাছে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করে সেই ঘোষণা তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়নের ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমি ও ঘর প্রদান কর্মসুচি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীসহ রাঙ্গুনিয়ার উপকারভোগী, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা উপভোগ করেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাজিব চৌধুরীর সঞ্চালনায় দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, মুজিববর্ষে আমরা গৃহহীনদের ঘর করে দেবো। সেই ঘোষণা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি তার রাষ্ট্রযন্ত্র ও দলকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। আজকে (শনিবার) একদিনে ৭০ হাজারের মতো ঘর তিনি উদ্বোধন করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে আজকে যারা ঘর পেয়েছেন তারা কখনও ভাবেননি এই ধরনের একটি জমির মালিকানাসহ দুই রুমের একটি ঘর উপহার পাবেন। এই অভাবনীয় কাজ আজকে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। আমার জানা নেই পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এভাবে একই দিনে ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়া উদ্বোধন হয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, অর্থাৎ আমরা ক্ষুধাকে জয় করেছি। ভরদুপুরে কিংবা সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে কিংবা গ্রাম গ্রামান্তরে “মা আমাকে একটু বাসি ভাত দেন” সেই ডাক এখন আর শোনা যায় না। কারণ বাসি ভাতের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগে। আজকে কোন ভিক্ষুক চাল ভিক্ষা নেয় না, কারণ চালের প্রয়োজন এখন আর নেই।
তিনি বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন, এরপরও কিছু কিছু ভিক্ষুক আছে। তবে শুধু ভিক্ষুক যে বাংলাদেশে আছে তা নয়, অনেক দেশে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ভিক্ষুক আছে।
তিনি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকে, এখন যে গৃহহীনরা ঘর পেয়েছে তা অন্যরা ক্ষমতায় এলে কেড়ে নেবে। নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে অন্য কাউকেও এভাবে আর কেউ ঘর করে দেবে না।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিজের ও দলের নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে এ ধরনের কমপক্ষে ৫০টি ঘর করে দেবেন বলেও জানান অনুষ্ঠানে। বিজ্ঞপ্তি