সুপ্রভাত ডেস্ক »
অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশের আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর লালদিঘী ময়দানে এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা শাখা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে, মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’ খবর সারাবাংলা।
নির্বাচন নিয়ে বিদেষি হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশিরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে।’
সরকারের সমালোচনা করে রেজাউল করীম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ। উন্নয়নের কথা বলে নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণকে নির্যাতন করলে কোনো বিচার হয় না। কিন্তু সোনার ছেলেদের মারার কারণে এডিসি হারুনের পদ চলে গেছে। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গনসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।’
দ্রব্যমূলের ঊর্দ্ধগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা সরাসরি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ অসহায়। প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।’
অবিলম্বে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে রেজাউল করীম বলেন, ‘এ দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সব রাজনৈতিক দলের। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় উপদষ্টো আ ফ ম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন সাকী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেলাল নুর আজিজী।