নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘চট্টগ্রামের মানুষ অনেক সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের মানুষকে অনেক ভালোবাসেন। চট্টগ্রামের মানুষকে ভালোবেসে টানেল উপহার দিয়েছেন। চেয়েছিলাম হাঁটাচলার দুটি রাস্তা। তিনি দিয়েছেন টানেল, ফ্লাইওভার, কর্ণফুলী থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত এলাকার বিশাল শিল্পের প্রজেক্ট। এর চেয়ে পরম ভালোবাসা আর কি হতে পারে। তাই চট্টগ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবেসে এই জনসভার আয়োজন করেছে।’
শুক্রবার সকালে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এ কথা বলেন। ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘দিনটি অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। চট্টগ্রামের মানুষ এখন থেকে জনসভায় আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চট্টগ্রামের মানুষের ভালাবাসা ৪ তারিখ প্রমাণ হবে। আওয়ামী লীগের এই জনসভা পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত মানুষের জমায়েত হবে। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে।’
হুইপ স্বপন বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিএনপি বিভিন্নভাবে প্রচার করছে তারা ক্ষমতায় গেলে একবার দেখে নিবে, তাড়িয়ে দিবে, ক্ষমতা দখল করে নিবে। জনগণ সেই সুযোগ দিবে না। জনগণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে জয়যুক্ত করে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। প্রধানমন্ত্রীকে কিভাবে আবারো ক্ষমতায় আনা যায় এই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। জনগণ সবসময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে কতটা ভালোবাসে তার প্রমাণ ৪ তারিখের জনসভায় দিবে।’
জনসভায় কত মানুষ হবে এমন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘এই হিসাবটা এখন না বলি। এই হিসাবটা আপনারা করবেন, জনসভা হলে আপনাদের মুখ থেকে আসবে মানুষের সংখ্যা, সেটার অপেক্ষায় আছি। চট্টগ্রামে অতীতে অনেক জনসভার ইতিহাস রয়েছে। আগামী চার তারিখের জনসভা অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের জনসভা বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পলোগ্রাউন্ডে বিএনপি সমাবেশ করেছে, সেটা ছিল বিভাগীয় মহাসমাবেশ। এর সঙ্গে সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি জেলার জনসভা। বিভাগীয় জনসভার সঙ্গে একটি জেলার জনসভার তুলনা কিংবা পাল্টা কর্মসূচি হয় না। তবে চট্টগ্রামের জনসভা পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাড়িয়ে যাবে। চট্টগ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দেবে।’
হুইপ স্বপন বলেন, ‘সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো জনসভা করে না। তিনি বলেন, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় অনেক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে। কোনও এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে, তাদের জন্য মাঠ প্রস্তুত করে রেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে তাদের জনসমর্থন প্রকাশ করতে পারবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ।