৭২৫ কি মি খালকাটা কর্মসূচি গ্রহণ
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখিকরণ ও কৃষিকে আরো লাভজনক করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টির যোগান দিতে সমন্বিত চাষ বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিক হওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে।
সভায় জেলাসমূহের আঞ্চলিক কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ জেলার কৃষির বর্তমান অবস্থা সমস্যা সম্ভাবনা ও করণীয় তুলে ধরেন।
তারা বলেন, দেশের প্রায় এক দশমাংশ এলাকা পাহাড়ে অবস্থিত। এসব পাহাড়ে প্রচলিত কৃষি পদ্ধতির পাশাপাশি অপ্রচলিত ফলের চাষাবাদ খুবই লাভজনক হবে। বিশেষ করে কাজুবাদাম, কফি ও ড্রাগন ফল উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। কাজুবাদাম ও কফির বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে পারলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করা যাবে। ফলে এ অঞ্চলে কৃষি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে ৭২৫ কি মি খালকাটা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও বহুমাত্রিক করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের নিকট পৌঁছাতে হবে। প্রকল্পের সাথে কৃষকের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। তাও নিরসনের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, কৃষি শুধু মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়না, শিল্পের কাঁচামালেরও অন্যতম উৎস কৃষি। তাই কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা মহামারি মোকাবেলায় কৃষি অন্যতম সহায়ক খাত হিসেবে কাজ করেছে বলে এসময় তিনি উল্লেখ করেন।
অঞ্চলভিত্তিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে মন্ত্রী বলেন, যে অঞ্চলে যে ফসল ভাল হয় তার ওপর জোর দিতে হবে। কৃষকের আয় বাড়াতে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে। শুধু অফিসে বসে না থেকে কর্মকর্তাদের কৃষকের জমিতে যেতে হবে। তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা বোঝাতে হবে। তবেই কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অন্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ উইং এর সরেজমিন পরিচালক একেএম মনিরুল আলম, হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা, রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা। বিজ্ঞপ্তি