এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন ব্রিটিশ সংবাধমাধ্যম বিবিসি’র মেডিক্যাল বিষয়ক সম্পাদক ফার্গাস ওয়ালশ। পুনরায় ট্রায়ালের আগে এই ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আরো ভালোভাবে পর্যালোচনা করা উচিত বলছেন তিনি।
ইমেইলে পাঠানোর অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র মিশেল মেক্সেলের বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টিকাকরণের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। একটি স্বতন্ত্র কমিটি ‘সেফটি ডেটা’ (সুরক্ষাজনিত তথ্য) পর্যালোচনা করবে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবরের ওয়েবসাইট ‘স্ট্যাট নিউজ’-এ জানানো হয়েছে, অসুস্থতার প্রকৃতি এবং তা কীভাবে হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে ওই অংশগ্রহণকারী সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ‘সন্দেহজনক গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া’-র জন্য এই প্রথম ট্রায়াল স্থগিত রেখেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
‘স্ট্যাট নিউজ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্সফোর্ডের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল স্থগিত রাখার প্রভাব পড়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্যান্য সম্ভাব্য টিকারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার উপরেও। প্রভাব পড়েছে অন্যান্য সংস্থার ট্রায়ালও। যে সংস্থাগুলো একইরকম প্রতিক্রিয়ার লক্ষণের সন্ধান করছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে বলা হয়েছে, ‘বড় ট্রায়ালে আচমকাই অসুস্থতা হয়। কিন্তু তা অবশ্যই সাবধানতার সঙ্গে স্বাধীনভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে।’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনার টিকার চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা চালাচ্ছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। স্বেচ্ছায় পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ করে টিকা দেয়ার কথা রয়েছে।